
আদি মেনুর বিয়েবাড়ি
আজকাল বিয়েবাড়ি মানেই কচুরি, কুলচা, ফিশফ্ৰাই কিংবা বিরিয়ানি। কিন্তু বহুকাল পূর্বে অর্থাৎ আদি বিয়েবাড়িতে বিশেষ করে এদেশীয় বাড়িতে খাবারের এক আভিজাত্য মেনু থাকতো। তখন অবশ্য ক্যাটারিং ছিলনা। বাড়ির লোক বা বন্ধুবান্ধবরাই কোমরে গামছা বেঁধে খাবার পরিবেশন করতেন। লোকের মাথা গোনার এক অভূতপূর্ব পদ্ধতি ছিল সেসময়। ওই বুদ্ধিদীপ্ত পদ্ধতির আবিষ্কার কর্তা কে তা কেউ জানেনা। লুচি ছোলার ডালের যুগে অতিথি খেতে বসার সময়ে দেখতে পেতেন পাতে নুন-লেবু এবং লম্বা করে কাটা একটি বেগুন ভাজা দেওয়া হচ্ছে। নিমন্ত্রিতরা খেতে চান আর না চান, কিন্তু বেগুন ভাজাটি পাতে দেওয়া হতই নিয়ম করে। যেন এটাই অলিখিত নিয়ম ছিল এটা। অবশ্য ওই বেগুন ভাজা চাইলেও রিপিট করা হতো না। কারণটি অসাধারণ। রান্নার ঠাকুর এসেই জিজ্ঞাসা করতেন কত নিমন্ত্রিত? ধরা যাক গৃহকর্তা বললেন ৩০০ জন। ঠাকুর সাথে সাথে তাঁর সহকারী কাউকে নির্দেশ দিয়ে দিতেন ৩১০ থেকে ৩১৫ তা বেগুন কেটে রাখার জন্য। এবারে প্রত্যেক নিমন্ত্রিত পাতে একটি করে বেগুন পড়ার পরে যে কটি বেগুন অবশিষ্ট থাকতো তাকে ওই ৩১০ বা ৩১৫ থেকে বাদ দিলেই নিমন্ত্রিতদের মধ্যে কতজন খেয়েছেন সহজেই গোনা যেত। অর্থাৎ বেগুন দিয়ে মানুষের মাথা গোনা হতো আদি বিয়েবাড়িতে।