
‘অযথা’ যাতায়াত রুখতেই 'সামান্য বেশি' ভাড়া নেওয়া হচ্ছে, সাফাই রেলের
গত বছরের মার্চ মাস থেকেই বন্ধ ছিল দেশের সমস্ত যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা। উদ্ভূত করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে যাতে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্যই বন্ধ করে দেওয়া হয় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। এরপর কিছু শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চললেও সাধারণ ট্রেন পরিষেবা এখনও চালু করেনি রেলমন্ত্রক। মে মাসের পর থেকে ধাপে ধাপে যাত্রীবাহী ট্রেন আংশিকভাবে চালু হয়েছে বটে তবে সেগুলি বিশেষ (Special) ট্রেন হিসেবেই চলছে। এরজন্য বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের। এই বিশেষ ট্রেনের নামে কেন অতিরিক্ত অর্থ দিতে হবে যাত্রীদের? বিভিন্ন মহলে উঠছিল প্রশ্ন। এবার রেলমন্ত্রক এই নিয়ে ব্যাখ্যা দিল। রেলের সাফাই, অযথা ট্রেনে যাতায়াত বন্ধ করতে সামান্য বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে ভাড়ায়। এরফলে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ট্রেনে চরবেন না, ফলে করোনা সংক্রমণও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কমবে।
রেলমন্ত্রকের তরফ থেকে আরও বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির জন্য প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া ওই একই দূরত্বের অসংরক্ষিত মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার সমান করা হয়েছে। প্রত্যেক যাত্রীকেই সিট রিজার্ভ করে ট্রেনে চাপতে হচ্ছে। ফলে অযথা ভিড় ঠেকানো গিয়েছে। করোনা সংক্রমণ যাতে দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। রেলের দাবি, বর্তমানে প্রায় ৬৫ শতাংশ মেল ও এক্সপ্লেস ট্রেন চলছে। সাবার্বান ট্রেন পরিষেবা প্রায় ৯০ শতাংশ চালু হয়ে গিয়েছে। বর্তমান সময়ে ১২৫০ মেল-এক্সপ্লেস ট্রেন ও ৩২৬ প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালাচ্ছে রেল। তবে স্বল্প দূরত্বের ট্রেন মোট ট্রেনের মাত্র তিন শতাংশ বলেই দাবি রেলের। লকডাউনের পরে পুরনো টাইমটেবিল অনুযায়ী ট্রেন এখনও চালু হয়নি।