
চিটফাণ্ড কাণ্ডে এবার মুখ্যমন্ত্রীকেই গ্রেফতারের দাবি তুললেন দিলীপ ঘোষ
চিটফাণ্ড ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিজেপিতে যোগ দেওয়া তৃণমূল নেতাদের খোঁচা দিতেই এবার সরব হলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বৃহস্পতিবার সকালে মর্নিং ওয়াকের ফাঁকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই গ্রেফতারের দাবি তুললেন। তাঁর কথায়, ‘চিটফাণ্ড কাণ্ডে তো গ্রেফতার করা উচিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। উনি তো চিটফান্ড সংস্থাগুলির বিমান ব্যবহার করতেন। এমনকি এই সংস্থাগুলির অ্যাম্বুলেন্সও উদ্বোধন করেছিলেন। তাই তাঁকেও গ্রেফতারের দাবি করা উচিত’। তবে বাকি কাজ ইডি-সিবিআই করবে বলেও জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। উল্লেখ্য, চিটফাণ্ডে বেআইনি লেনদেন ও বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগে বুধবারই এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি) গ্রেফতার করে তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কে ডি সিংকে। এরপরই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের গ্রেফতারির দাবি করেন। এরই জবাবে দিলীপ ঘোষ একহাত নিলেন তৃণমূল নেত্রীকেই।
পাশাপাশি এদিন বাগবাজার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, দুখজনক ঘটনা, সরকারের দেখা উচিত। যদি কোনও চক্রান্ত হয়, তবে সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত। রাজ্যের আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গেও কয়েকটি মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, এরাজ্যে ব্যাতিক্রমী নির্বাচন হয়। লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশে কোথাও গন্ডগোল না হলেও এই রাজ্যের ৪২টি আসনেই গন্ডগোল হয়েছে। আমি প্রার্থী ছিলাম, আমার গাড়িও ভাঙচুর হয়েছে, খুন হয়েছে। এসব লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। আশা করি তারা সব খতিয়ে দেখবে ও সেই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা নেবে।
সবশেষে অনুব্রত মন্ডলের যজ্ঞ করা নিয়েও কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলে লোকসভা নির্বাচনের আগে উনি ব্রাক্ষ্ণণ ভোজন ও গো-দান করেছিলেন। সেবার কি হয়েছিল সবাই জানে। এবার ২০০-র বেশি আসন বিজেপি পাবে। যারা সারাবছর লুটপাট করেন তারাএখন ভগবানকে ঘুষ দিলে কি হবে।