শিবসেনা বিধায়ক তথা মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের চাপের রাজনীতির কাছে মাথা নোয়াতে নারাজ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার উদ্ধব ঠাকরে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেন। সেই ভাষণে বিক্ষুব্ধদের উপর পাল্টা চাপ দিয়েছেন উদ্ধব। তাঁর বিবৃতি, 'বিদ্রোহী বিধায়করা আমায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে না চাইলে আমি এখনই ইস্তফা দেব। আমার পদত্যাগপত্র তৈরি। কিন্তু আপনারা সামনে আসুন। এসে নিজের মুখে সে কথা বলুন।'
তিনি বলেন, শিবসেনা হিন্দুত্বের পথেই আছে। সে পথেই দলের পরিচয়। কোভিডকালে জোট সরকার দারুণ কাজ করেছে। এরপরেও একজন বিধায়কও যদি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে না চান, তাহলে তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ছেড়ে মাতোশ্রী চলে আসবেন। মুখ্যমন্ত্রী হব, তা কখনও ভাবিনি। তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব আসার পর কিছুটা অবাকই হয়েছিলাম।
এদিকে, শিবসেনার শরিক হিসেবে মহারাষ্ট্র সরকারের অংশ এনসিপি এবং কংগ্রেস। সেই দুই শরিক দলের নেতা শরদ পাওয়ার এবং কমল নাথ উদ্ধবকে ফোন করেছিলেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ২০২৪ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই তাঁকেই দেখতে চান শরিক দলগুলো।
এদিকে, শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের আচরণে মহারাষ্ট্রে সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অনিশ্চয়তার মুখে। এই বিদ্রোহের মূল মুখ একনাথ শিন্ডে দাবি করেছেন, তাঁর সঙ্গে শাসক পক্ষের ৪৬ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার মুখে থাকা মহারাষ্ট্রে এবার করোনার প্রকোপ। একইসঙ্গে আক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবং রাজ্যপাল বিএস কোশিয়ারি। তাই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল।