অনেক বাচ্চাই ছোটবেলায় আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখে। মা-বাবাদের কাছে বায়না ধরে প্লেনে চড়ার। দোকানে গিয়ে সবার আগে চোখ পড়ে সাজিয়ে রাখা খেলনা বিমানের দিকে। তেমনই আবদার করেছিল তাঁর বাড়ির বাচ্চারা। আর তাদের ইচ্ছাপূরণে বাড়ির ছাদেই বানিয়ে ফেললেন আস্ত একটি বিমান।
রাঁচির আঙ্গারহা ব্লকের বাসিন্দা জাকির খান এমনই একজন। যিনি ২০২০ সালের জানুয়ারিতে নিজের বাড়ির ছাদে বিমান বানিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। গত ১০ জানুয়ারি বিমান নির্মাণের এক বছর পূর্তি হওয়ায় এবার শিশুরা কেক কেটে দিনটি উদযাপন করেছে। প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ করে বাড়ির ছাদে এই বিমান তৈরি করেছেন তিনি।
সন্তানদের ইচ্ছাই তাঁর কাছে শেষ কথা। আসলে জাকির যৌথ পরিবারের একজন। যৌথ পরিবারের দৌলতে সন্তানের সংখ্যা অনেক বেশি। এমনকি এলাকার শিশুরাও তাদের বাড়িতে খেলতে যায়। সন্তানদের জন্যই নতুন বাড়ির ছাদে এই বিমান বানানোর কথা ভাবেন। বাড়ির ছাদে তৈরি এই বিমানটি দেখতে হুবহু আসল বিমানের মতোই। দূর থেকে যা দেখলে মনে হতে পারে, উড়োজাহাজটি এইমাত্র অবতরণ করেছে এবং শীঘ্রই টেক অফ করতে চলেছে। এই বিমানের সামনে এবং পিছনে চাকাও রয়েছে। এছাড়া, দুটি ডানার আলোর বাল্বগুলি বাচ্চাদের একটি বাস্তব বিমানের মতো অনুভূতি দেয়। তাঁর কাছে বাচ্চারা আবদার করত। তাই আগামী দিনে বাড়ির ছাদে হেলিকপ্টার বানানোর সুপ্ত ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন জাকির খান।
এই বিমানের ভিতরে রাখা হয়েছে বসার জায়গাও। শিশুরা যাতে প্লেনে চড়ার পুরো আনন্দ উপভোগ করতে পারে, তার জন্য যা করা সম্ভব সবটাই করেছেন জাকির খান। সেখানে রয়েছে ১০ টি বসার আসন। রয়েছে ককপিটও। সেখানে রয়েছে একটি স্টিয়ারিং। যা রাখা হয়েছে কেবল শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্যই। এই বিমান রক্ষণাবেক্ষণের খরচও কোনও অংশে কম নয়। বছরে আনুমানিক ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকে এর জন্য। কখনও কখনও এর থেকে বেশিও খরচ হয়ে থাকে। তবে জাকির খান সবটাই খুশি মনে করেন শিশুদের কথা ভেবেই।