ধর্মীয় অনুশীলনে মুসলিম মহিলাদের জন্য বাধ্যতামূলক নয় হিজাব (Hijab Row)। হিজাব মামলায় মঙ্গলবার গুরুত্বপূর্ণ এই রায় দিয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্ট (Karnartaka High COurt)। যদিও হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন আবেদনকারীরা। এমনটাই একাধিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে ৫ ফেব্রুয়ারি সরকার রীতিমতো নির্দেশিকায় জানিয়েছিল, যে কলেজে পোশাক বিধির উল্লেখ আছে, সেখানেও হিজাব পরা যাবে না। সেই নির্দেশ বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। এমনটাই একাধিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর। ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট অন্তর্বর্তী আদেশে বলেছিল আপাতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনও ধর্মীয় পোশাক পরে প্রবেশ করা যাবে না। সেই তালিকায় হিজাব-সহ গেরুয়া উত্তরীয় ছিল।
এদিকে, আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চে দায়ের হওয়া এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে ২৫ ফেব্রুয়ারি। সেদিন আদালত জানিয়েছিল ১৫ মার্চ রায় ঘোষণা। মূলত কর্ণাটক সরকারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব বা ধর্মীয় পোশাকে নিষেধাজ্ঞা বহালের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে পাঁচটি মামলা দায়ের হয়েছিল। মামলাকারীদের তরফে আবেদন ছিল, ভারতীয় সংবিধানে হিজাব মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। পাশাপাশি ইসলাম (religious Practise) ধর্মাচারণে জরুরি অনুশীলন হিজাব।
এদিনের রায়ে সেই সবক'টি আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। অন্তত ১২ জন পড়ুয়া এই মামলার অন্যতম আবেদনকারী। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থি-সহ এই বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য বিচারপতি কৃষ্ণ দীক্ষিত এবং জেএম খাজি। কর্ণাটক সরকার ৫ ফেব্রুয়ারি আইনশৃঙ্খলা প্রভাবিত হতে পারে, এমন পোশাকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।হাইকোর্টের এই রায় খানিকটা কর্ণাটক সরকারের সেই নির্দেশের পক্ষেই গিয়েছে। এমনটাই দাবি একটি সূত্রের।
অন্যদিকে, এদিনের রায় ঘিরে যাতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় সতর্ক ছিল প্রশাসন। উদুপিতে এদিন বন্ধ ছিল স্কুল-কলেজ। বেঙ্গালুরুতে আগামি এক সপ্তাহ বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ম্যাঙ্গালুরুতে ১৯ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ সব বড় জমায়েত।