ভারত সফরে উষ্ণ সংবর্ধনা পেয়ে আপ্লুত ব্রিটিশ প্রাইম মিনিস্টার বরিস জনসন (British PM Boris Johnson)। দুই দিনের ভারত সফরের (Visit to India) প্রথম দিন তিনি গুজরাতে ছিলেন। সেই প্রসঙ্গে মোদীকে খাস দোস্ত সম্ভাষণ করে জনসন বলেন, 'আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) এবং ভারতের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই। ভারতে পা রেখে নিজেকে সচিন তেন্ডুলকর এবং আশপাশে আমার বড় বড় হোর্ডিং দেখে অমিতাভ বচ্চন মনে হয়েছে।'
এদিকে, তাঁর ভারত সফরের দ্বিতীয় তথা শেষদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন জনসন। রাষ্ট্রপতি ভবনে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক প্রসঙ্গে জনসন বলেছেন, 'দু’দেশের সম্পর্ক উত্তাল সমুদ্রের মধ্যে পথ দেখানোর বাতি।'
দু'দেশের মধ্যে একাধিক বাণিজ্যিক চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মোদী বলেন, 'আজাদি কা অম্রুত মহোৎসবের মধ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ঐতিহাসিক ঘটনা।' ব্রিটেনের সহযোগিতায় ভারতে ফাইটার জেট তৈরি হবে বলে ঘোষণা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ভারতের বিদেশনীতির প্রশংসা করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ বিদেশনীতিই ভারতের পরিচয়।'
শুক্রবারের বৈঠকে মূলত সামরিক সহযোগিতা, পরিবেশ রক্ষা সংক্রান্ত বিষয় এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্বাধীন ও মুক্ত বাণিজ্য পরিস্থিতি বজায় রাখা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এমনটাই বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর।
প্রধানমন্ত্রী বলেন 'গত বছরেই আমরা কৌশলগত পার্টনারশিপে কাজ শুরু করেছি। স্বাধীন বাণিজ্য নিয়েও আলোচনা চলছে দু'দেশের মধ্যে।' প্রসঙ্গত, বরিস জনসন চান যেন দীপাবলীর আগেই মুক্ত বাণিজ্য সংক্রান্ত চুক্তি হয়ে যায়। ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে যেন কূটনৈতিক সমস্যা না হয়, তা নিয়েও কথা হয়েছে। উঠে এসেছে রাশিয়া-ইউক্রেন প্রসঙ্গ। মোদী বলেন, আমরা চাই অবিলম্বে শান্তিপূর্ণভাবে যুদ্ধবিরতি হোক ইউক্রেনে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা দরকার। ভারতের অপর এক প্রতিবেশী আফগানিস্তানে সন্ত্রাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমরা চাই আফগানিস্তানের মাটি থেকে যেন অন্য দেশের উপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা না হয়।'