Share this link via
Or copy link
১০ কোটিরও বেশি টাকা মূল্যের তিমির বমি (Whale Vomit) পাচার করতে গিয়ে সম্প্রতি চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে যোগী রাজ্যের পুলিস (Uttar Pradesh)। চোরাবাজারে ওই দুই ব্যক্তি স্পার্ম তিমির (Sparm Whale) বমি বা ‘অ্যাম্বারগ্রিস’ (Ambergris) বিক্রি করবে বলে পুলিস খবর পায়। অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪ কেজি ১২০ গ্রাম ওজনের ‘তিমির বমি’ বাজেয়াপ্ত করে চোরাচালানকারীদের কাছ থেকে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশ পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের পক্ষ থেকে টুইটারে এই ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। এক পোস্টে জানানো হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক আঙিনায় নিষিদ্ধ বন্য জীব সংরক্ষণ আইনের অধীনে চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৪.১২ কেজি ওজনের ওই অ্যাম্বারগ্রিস পাচার চেষ্টার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।’
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, অ্যাম্বারগ্রিস বা তিমির বমি কী কাজে লাগে? আকাশ ছোঁয়া তার দাম বা কেন? তিমির অন্ত্রে জমে থাকা মোমজাতীয় এই পদার্থ, যা বমি হিসেবে শরীর থেকে বের করে দেয় স্তন্যপায়ী প্রাণীটি, সেই অ্যাম্বারগ্রিস ব্যবহার করা হয় সুগন্ধী নির্মাণে। তিমির বমি থেকে সুগন্ধী! এও সম্ভব! আবার কোন তিমি, না স্পার্ম তিমি। উল্লেখ্য, তিমির একটি বিশেষ প্রজাতি হল স্পার্ম হোয়েল। এছাড়া প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতেও এর গুরুত্ব ছিল অনেক।
সমুদ্রের জলে ভেসে আসে এই দুর্মূল্য বস্তু। তাই একে 'ফ্লোটিং গোল্ড'ও বলা হয়। সুগন্ধীর বাজারে এর গগনচুম্বী চাহিদার জন্যই এমন দাম। দুবাইয়ের মতো কয়েকটি দেশে সুগন্ধীর বিশাল বাজার।