অবশেষে লখনউ পুরসভা পিটবুলটিকে তার মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিল। দু'সপ্তাহ আগে ৮২ বছর বয়সী মালিক সুশীলা ত্রিপাঠিকে আক্রমণ করে বসে ওই পিটবুলটি। খাবার দিতে গেলে হঠাৎ রেগে গিয়ে দেহের ১৩টি জায়গায় কামড় বসায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
মৃতার ছেলে অমিত ত্রিপাঠী পিটবুলকে নিজের কাছে রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই মতো লখনউ পুরসভা কিছু শর্ত প্রয়োগ করে মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেয় তাঁর পোষ্যকে। অমিত কুকুরের যত্ন নেবেন বলে লিখিত সম্মতি দেন। এর পরই এলএমসি আধিকারিকরা এই সিদ্ধান্ত নেন।
কর্পোরেশনের এক আধিকারিক শুক্রবার আইএএনএসকে বলেছেন, “মালিক পিটবুলকে প্রতিদিন একজন প্রশিক্ষকের কাছে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এবং পোষ্যের আচরণের মূল্যায়ন করার জন্য তাকে একজন আচরণ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাবেন। শর্ত লঙ্ঘন করলে কুকুরটিকে আবার পুরসভায় ফিরিয়ে আনা হবে।"
তিনি আরও বলেন, কুকুরটিকে পর্যবেক্ষণে রাখার ১৪ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় মালিক প্রায় প্রতিদিনই কর্মকর্তাদের কাছে কুকুরটিকে হস্তান্তরের অনুরোধ জানিয়ে এসছেন। পোষ্যকে কাছে পেয়ে আনন্দিত হতে দেখা যায় অমিত ত্রিপাঠীকে।
প্রসঙ্গত, ঘটনার দিন সকাল ৬ টা নাগাদ প্রতিবেশীরা কুকুরের আওয়াজ শুনতে পান। একইসঙ্গে ওই বৃদ্ধারও সাহায্যের আর্তি ভেসে আসছিল। প্রতিবেশীরা ছুটে যান। কিন্তু দরজা বন্ধ থাকায় তাঁরা ভিতরে ঢুকতে পারেননি। খবর দেওয়া হয় ছেলেকে। ছেলে এসে দরজা খুলে দেখে ওই মর্মান্তিক দৃশ্য।