সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় বেনজির বাকযুদ্ধে জড়ালেন সোনিয়া গান্ধী, স্মৃতি ইরানি। সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর উদ্দেশ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। সেই মন্তব্যের প্রতিবাদে বিজেপি সাংসদদের বিক্ষোভের মধ্যেই বাকযুদ্ধে জড়ান সোনিয়া-স্মৃতি। প্রতিবাদরত বিজেপি সাংসদদের বিক্ষোভের মধ্যেই কথা বলতে এগিয়ে যান সোনিয়া গান্ধী। সেই সময় হঠাৎ হস্তক্ষেপ করতে চলে আসেন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। আর তাতেই বেজায় চটে গিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী বলেন, 'আমার সঙ্গে একদম কথা বলবে না।'
যদিও সংসদকক্ষে সোনিয়ার এই আচরণের প্রতিবাদে সরব বিজেপি। পাল্টা সুর চড়িয়েছে কংগ্রেসও। অধীর চৌধুরীর মন্তব্যের প্রতিবাদে অধীর এবং সনিয়ার বিরুদ্ধে লোকসভায় প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি সাংসদরা। স্মৃতি ইরানি দাবি করেন, সোনিয়া গান্ধীকে ক্ষমা চাইতে হবে।
তাঁর অভিযোগ, ‘দ্রৌপদী মুর্মুর অপমানে আপনি সম্মতি দিয়েছেন। সংবিধানের সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন এক জন মহিলা, তাঁর অপমানে সায় দিয়েছেন সনিয়াজি।’
এরপরেই স্থগিত হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশন। সে সময় বিজেপি সাংসদ রমা দেবীর কাছে যান কংগ্রেস সভানেত্রী। রমা দেবীকে তিনি নাকি বলেন, 'অধীর চৌধুরী ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। কেন আমায় টেনে আনা হচ্ছে?'
তখনই ঢুকে পড়ে স্মৃতি বলেন, ‘ম্যাডাম, আমি একটা কথা বলি? আপনার নামটা আমি তুলেছিলাম।’ এতেই মেজাজ হারান সনিয়া। কংগ্রেস নেত্রী মেজাজ হারাতেই তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে। সনিয়াকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যান তিনি।
এই ঘটনার বিরোধিতায় সরব অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেন, ‘সংসদে তিনি ওই কথা বলে আমাদের সাংসদকে অপমান করেছেন। আসলে কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রীর কোনও অনুশোচনা নেই।’ কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ আবার সনিয়াকে অপমানের অভিযোগ এনেছেন স্মৃতির বিরুদ্ধে।