Share this link via
Or copy link
বিদেশনীতি (Foreign Policy) নিয়ে অন্য কোনো দেশের অনুমোদন লাগবে না ভারতের। ফের নাম না করে আমেরিকাকে বার্তা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jayshankar)। রাশিয়া-ইউক্রেনের (Russia invades Ukraine) যুদ্ধ আবহে পশ্চিমী দেশগুলো থেকে মস্কো-বিরোধী অবস্থান নিতে বারবার চাপ আসছে ভারতের উপর। সেই চাপ প্রসঙ্গেই বুধবার ফের একবার অবস্থান স্পষ্ট করল নয়াদিল্লি। কাউকে সন্তুষ্ট করতে বিবর্ণ অলঙ্কার হয়ে থাকতে পারবে না ভারত। এদিন এভাবেও সরব ছিলেন বিদেশমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের অবস্থানে আত্মবিশ্বাস নিয়ে থাকতে চাই। আমার মনে হয় গোটা বিশ্বের সেই পথে চলা উচিৎ। তারা যেরকম, অন্যকে সন্তুষ্ট করতে বিবর্ণ অলঙ্কারে রূপান্তরিত না হয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে সেরকম থাকুক।'
এদিকে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মার্কিন সাংসদের সাম্প্রতিক সফরকে নিন্দার সুরে বিঁধেছে ভারত। একসপ্তাহ আগে সেই নিন্দার গুরুত্ব বিচার করে বিবৃতি দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এক কর্তা জানান, ইউএস কংগ্রেস-ওম্যান ইলহান ওমরের পিওকে সফর সম্পূর্ণ বেসরকারি-ব্যক্তিগত। এই সফরের সঙ্গে বাইডেন সরকারের বিদেশ নীতির কোনও সম্পর্ক নেই। সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীর গিয়ে সদ্য অপসারিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন সাংসদ ইলহান ওমর।
সেই সফরকে গত বৃহস্পতিবার তীব্র নিন্দায় বিঁধেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। মার্কিন সাংসদের এই সফর ভারতের অখণ্ডতা এবং অবিচ্ছেদ্যতাকে লঙ্ঘিত করেছে। এই অবস্থান সংকীর্ণ রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ।
ডেমোক্র্যাটের এই কংগ্রেসওম্যান ২০ এপ্রিল থেকে চার দিনের পাকিস্তান সফরে এসেছেন। পিওকে ঘুরে দেখার সঙ্গে তিনি দেখা করেন ইমরান খানের সঙ্গে। আর ভারত প্রতিক্রিয়া দিতেই মার্কিন বিদেশ সচিবের বিশেষ উপদেষ্টা ডেরেক চলেট বলেছেন, 'এটা বেসরকারি এবং ব্যক্তিগত সফর। মার্কিন সরকারের বিদেশ নীতির সঙ্গে এই সফরের কোনও যোগ নেই।'