প্রায় ১০ বছর ঘরবন্দি থাকার পর পুলিসের তৎপরতায় উদ্ধার সত্তরোর্ধ্ব জ্ঞানজ্যোতি (Old Woman Rescue)। এই ঘটনায় মা-কে আটকে রাখার অভিযোগে বৃদ্ধার দুই ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, দুই অভিযুক্তর একজন সন্মুগাসুন্দরম তামিলনাড়ু পুলিসের ইনস্পেক্টর (Police SI), অপরজন বেঙ্কটেশন দূরদর্শনের উচ্চপদে কর্মরত। অভিভাবক এবং প্রবীণ নাগরিক আইনের ২৪ ধারায় এই দু'জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিস (Tamilnadu Police)।
যদিও গোটা ঘটনার দায় ভাইয়ের ঘাড়ে চাপিয়েছেন পুলিসের সাব ইনস্পেক্টর সন্মুগাসুন্দরম। তাঁর অভিযোগ, 'মায়ের পেনশনের ৩০ হাজার টাকা পুরোটাই পেতেন বেঙ্কটেশন। তাই মায়ের দেখভালের দায়িত্ব ছিল ভাইয়ের কাঁধেই।'
জানা গিয়েছে, রাজ্য সামাজিক কল্যাণ বিভাগ পুলিসের সাহায্যে ওই বৃদ্ধাকে বদ্ধ ঘর ভেঙে উদ্ধার করে। সেই সময় জ্ঞানজ্যোতি দেবী নগ্ন এবং শীর্ণ ছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি ভাইরাল এক ভিডিও সমাজ কল্যাণ দফতরে পাঠিয়ে জ্ঞানজ্যোতি দেবীর অবস্থা সম্বন্ধে প্রশাসনকে অবগত করেন।
থাঞ্জাভুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁকে সুস্থ করে তুলতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। এমনটাই জানান জেলাশাসক। যদিও পড়শিরা জানান, ছেলেরা যেহেতু অন্যত্র থাকতেন তাই মায়ের জন্য পর্যাপ্ত খাবার রেখে যেতেন। তারপরেও খাবার কমে গেলে কিংবা বেশি খিদে পেলে জ্ঞানজ্যোতি দেবী অ্যালার্ম বাজালে পড়শিরা বাইরে থেকে শুকনো খাবার ঘরের ভিতরে ছুঁড়ে দিতেন। কারণ বাইরে থেকে তালা ঝুলতো সেই বাড়িতে।