এশিয়ার বিত্তশালী ব্যক্তি হিসেবে গৌতম আদানিকে পিছনে ফেললেন মুকেশ আম্বানি। রিলায়েন্স কর্তা নিজের বিত্ত বাড়িয়ে তালিকার শীর্ষে, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৯৯.৭ বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আদানি গ্রুপ চেয়ারম্যান গৌতম আদানি, তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৯৮.৭ বিলিয়ন ডলার। ব্লুমবার্গ বিলিওনিয়র ইনডেক্স সূত্রে এই তথ্য জানা গিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরেই এশিয়ার বিলিওনিয়র হিসেবে জোর লড়াই চলছে আম্বানি এবং আদানির।
জানা গিয়েছে, বিত্তশালীদের ক্রমতালিকায় বিশ্বে প্রথম দশে রয়েছেন আম্বানি-আদানি। অষ্টম স্থানে রিলায়েন্স কর্ণধার এবং নবম স্থানে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান। এই তালিকার শীর্ষে টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্ক। দ্বিতীয় স্থানে অ্যামাজনের জেফ বেজস, বার্নার্ড আর্নল্ট ও বিল গেটস।
এদিকে, গত ফেব্রুয়ারিতে মুকেশ আম্বানিকে সরিয়ে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি হয়েছিলেন গৌতম আদানি। ব্লুমবার্গ বিলিওনিয়র সূচক সূত্রে খবর ছিল, আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৮.৫ বিলিয়ন ডলার। তাঁর ঠিক পিছনেই আছেন মুকেশ আম্বানি, যাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ সেই সময় ছিল ৮৭.৯ বিলিয়ন ডলার। জানা গিয়েছিল, চলতি বছরে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে গৌতম আদানির সম্পদ। বন্দর, খনি, সবুজ শক্তির মতো ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জেরে ক্রমেই লাভবান আদানি গ্রুপ অফ কোম্পানিজ।
কয়লা ব্যবসায় বড়সড় বিপ্লব আনা এই উদ্যোগপতির সাম্প্রতিক প্রকল্প নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। তাঁর অস্ট্রেলিয়ার খনি প্রকল্প নিয়ে চলেছে একপ্রস্থ বিতর্ক। পাশাপাশি জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পেও বড়সড় বিপ্লব আনতে বিনিয়োগ করেছে আদানির সংস্থা।
পাশাপাশি নবীকরণযোগ্য শক্তি, বিমানবন্দর, ডেটা সংগ্রহ কেন্দ্র এবং প্রতিরক্ষা বরাত ক্ষেত্রেও ব্যবসা বাড়াতে উদ্যোগী এই উদ্যোগপতি। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দিতেই ক্রমেই বিনিয়োগের পরিসর বাড়াচ্ছেন এই উদ্যোগপতি।
এই প্রসঙ্গে শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য, ঠিক সময়ে সঠিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ শুরু করেছেন গৌতম আদানি। যার জেরে অনেক বিদেশি বিনিয়োগ আগ্রহ প্রকাশ করেছে তাঁর সঙ্গে কাজ করতে।