যত সময় পেরচ্ছে, ততই আনিস খুনের রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। মৃত্যুর প্রায় ৭২ ঘণ্টা পেরলেও দোষীরা এখনও অধরাই। তবে এই নিয়ে রাজ্য তোলপাড় হচ্ছে শনিবার থেকেই। পরিবার-পরিজন থেকে শুরু করে বিভিন্ন দলের নেতৃত্ব পথে নেমেছে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে। এবার বাদ পড়ল না দিল্লিও। আনিসের অস্বাভাবিক মৃত্যুকাণ্ডে দিল্লিতে বঙ্গভবনের সামনে প্রতিবাদ, বিক্ষোভে সামিল বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা। কিন্তু বিক্ষোভের আগেই দিল্লি পুলিস তাঁদের আটক করে মন্দিরমার পুলিস স্টেশনে নিয়ে যায়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঠিক অন্যদিকে আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় আজই সিট গঠন করে তদন্তের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ তিনি জানতে চেয়েছেন। এরপরই তত্পর পুলিস প্রশাসন। দুপুর থেকেই দেখা যায় আনিসের বাড়িতে এসেছেন অ্যাডিশনাল এসপি। তিনি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা করেন। তবে এক্ষেত্রে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের একটি বড় অভিযোগ উঠে আসছে পরিবারের পক্ষ থেকে। ফলে বিডিও-র পক্ষ থেকে আনিসের বাড়ির আশেপাশে সিসিটিভি বসানোর কাজ দুপুর থেকেই শুরু হয়ে যায়। তবে রবিবারের মতো সোমবারও দফায় দফায় উত্তাপ বাড়তে থাকে আমতায়।
তবে আনিসের বাড়িতে দুপুরেই হাজির হয়েছিলেন আইএসএফ নেতা ও ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তিনি জানান, একজন প্রতিবাদী যুবকের কণ্ঠকে হত্যা করা শুধু নয়। সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবাদী কণ্ঠকে বার্তা দিতে চাইছে, কেউ যাতে প্রতিবাদ না করে। তিনি আরও জানান, "আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা চালাচ্ছি, প্রয়োজনে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাব।" তবে পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, সরকার সম্পূর্ণ ভাঁওতার মধ্যে দিয়ে কেসটাকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তবে সমস্ত ঘটনার তদন্তে পুলিস-প্রশাসন।