সরকার পুনর্বিবেচনা না করা পর্যন্ত আপাতত স্থগিত রাষ্ট্রদোহ আইন (Sedition Law)। বুধবার গুরুত্বপূর্ণ এই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশের শীর্ষ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। তৃণমূল (TMC) বলেছে, 'এই রায় ঐতিহাসিক।' দলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় জানান, এই আইন একবারে তুলে দিলে ভালো হতো। যেহেতু সরকার বলেছে আইন পুনর্বিবেচনা করবে, তাই আদালত স্থগিত রেখেছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টও চায় এই আইন বাতিল হোক। মূলত আইপিসির ১২৪-এ ধারায় রাষ্ট্রদোহিতার অভিযোগ এনে, যখন তখন যাকে খুশি গ্রেফতার করা হতো। পৃথিবীর উন্নত দেশে এই আইন নেই, আমাদের দেশে ১৬২ বছর ধরে আইন রয়েছে। ব্রিটিশ আমলে যেভাবে এই আইনের বলে নিষ্পেষিত করা হয়েছে, এখনও বিভিন্ন সরকার এই আইনের ব্যবহার করছে একই কাজে।
তাঁর মন্তব্য, 'এই ধারা অনেক আগে বাতিল করা উচিৎ ছিল। কারণ ব্রিটিশ আমলে বিপ্লবী এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিরুদ্ধে এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এখন এই আইন প্রণয়ন করে দমন-পীড়ন চলেছে। তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানায়।'
এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, 'সুপ্রিম কোর্টের এই রায় সাহসী এবং সময়োপযোগী। রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অছিলায় মোদী সরকার নানাভাবে নাগরিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছে। মোদী বিরোধিতা মানে রাষ্ট্র-বিরোধিতা এমন একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। এই পদক্ষেপ জরুরি ছিল, যথার্থ ছিল।'
এই রায়ের প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেছেন, এই আইনের আওতায় গান্ধীজি-সহ অন্য স্বাধীনতা সংগ্রামীরা জেলে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্যক্তিগতভাবে এই আইনের বিরোধী ছিলেন। তাই দেশের আইন মানা নাগরিক হিসেবে আমি এই রায়কে স্বাগত জানাই।'