অক্টোবরে করোনার দাপট দেশজুড়ে অনেকটাই কমে গিয়েছিল। কিন্তু ডিসেম্বরে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এমনটি হবে, তার আভাস দিয়েছিল হু এবং জানিয়েছিল, নতুনরূপে আসবে করোনা ১৯। এটি তৃতীয় ঢেউ কি না, তার পরিষ্কার বার্তা নেই। হঠাৎ করেই সৌরভ গাঙ্গুলি, ডেরেক ও'ব্রায়ান, করিনা কাপুর সহ দেশের বিভিন্ন নেতা ও সেলিব্রিটিরা করোনা সংক্রামিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। সদা সতর্ক থাকা বিখ্যাত ব্যক্তিদের খবর যখন প্রকাশ পাচ্ছে, তখন আম নাগরিকদের অবস্থা কী, এই ভাবনা স্বাভাবিকভাবেই এসে যায়।
ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিয়েছেন 'বুস্টার ডোজের' বার্তা। তিনি জানাচ্ছেন, এবার ছোটদের জন্যও ভ্যাকসিন এসেছে। ৬০ ঊর্ধ বৃদ্ধদের বুস্টার ডোজ নিতে হবে। প্রথমে ঠিক ছিল, এই ডোজ নিতে হলে ওই ব্যক্তিকে শংসাপত্র দিয়ে জানাতে হবে, তার কোনও কঠিন রোগ নেই। কিন্তু দ্রুত বর্তমান অবস্থা দেখে কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করেছে, কোনও শংসাপত্র লাগবে না। এমনিতেই বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।
কিন্তু বারবার প্রশ্ন উঠছে, কী এই ওমিক্রন? প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই যুদ্ধও দেশের নাগরিকদের জিততে হবে। বড়দিনের রাতে এই বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদী।
যাই হোক না কেন, বিজ্ঞানীদের মতে, ওমিক্রন করোনা ১৯ এর থেকেও শক্তিশালী। শক্তি অর্থে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায়। কিন্তু করোনা ১৯ এর থেকে দুর্বল হতে পারে। সংক্রমণ ছড়ানোটাও তো বেশ চিন্তার, বিশেষ করে বাচ্চাদের মধ্যে।
ইতিমধ্যে করোনা দেশের মধ্যে ৪৪ শতাংশ সংক্রমণ বৃদ্ধি করেছে। মঙ্গলবার যেখানে সংক্রামিতের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৩৫৮, সেখানে বুধবার সকালেই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজারের বেশি। ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮১ জন। এর মধ্যে দিল্লিতে সবচাইতে বেশি ২৩৮, মহারাষ্ট্রে ১৬৭, গুজরাতে ৭৩, কেরলে ৬৫, তেলেঙ্গানায় ৬২ ইত্যাদি। বাংলায় ইতিমধ্যে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ১১ জন।
এই উদ্বেগের কারণে মুম্বই সিনেমা জগৎ নতুন ছবি রিলিজ করা বন্ধ করেছে। কারণ হল বন্ধ। ভাবনার বিষয় পশ্চিমবঙ্গের। সামনে সারা বাংলা জুড়ে পৌরসভা নির্বাচন। কাজেই সতর্কতা প্রয়োজন।