রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর আগেই সতর্কবার্তা দিয়েছিল, করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে আগামী সপ্তাহেই। আর দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে যেতে পারে ৩০ থেকে ৩৫ হাজারে। বাস্তবে গত দু-তিনদিন ধরে পরিস্থিতি কিন্তু ক্রমশই লাগামছাড়া জায়গায় চলে যাচ্ছে।
প্রথমে দেখা যাক, দেশে এবং রাজ্যে ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ তে। গতকালের রিপোর্ট অনুযায়ী, তালিকায় ১১ নম্বরে নাম ছিল ওড়িশার।
এবার আক্রান্তের সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গে ওড়িশার তুলনায় বেড়ে গেল। এবার সেই ১১ নম্বরে চলে এল পশ্চিমবঙ্গ। ওড়িশায় আক্রান্তের সংখ্যা কমায় ১২ নম্বরে নম্বরে চলে গেল ওই রাজ্য।
গোটা দেশের মধ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি মহারাষ্ট্রে। সেখানে ৪৫৪ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত। তেইশটি রাজ্য মিলিয়ে গোটা দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১৪৩১ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪৮৮ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি, সেখানে আক্রান্ত ৩৫১ জন। উল্লেখযোগ্যভাবে তিন নম্বরে উঠে এল তামিলনাড়ুর নাম। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১১৮ জন। গতকালের রিপোর্ট অনুযায়ী তামিলনাড়ু ছিল সাত নম্বরে।
রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ২৮ ডিসেম্বর আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৫২ জন, অর্থাৎ হাজারের নিচে। পরেরদিন, অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর তা হঠাৎই বেড়ে হয়ে যায় ১০৮৯ জন। অর্থাৎ আক্রান্ত হাজার ছাপিয়ে গেল। ৩০ ডিসেম্বর তা দ্বিগুণ হয়ে পৌঁছে গেল ২ হাজার ১২৮ এ। আর বর্ষশেষে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ হাজার ৪৫১ তে।
ফলে এই পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যাচ্ছে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্যে কীভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দৈনিক মৃতের সংখ্যাও ৭ থেকে ১২র মধ্যে ঘোরাফোরা করছে।
আরও একটি উদ্বেগজনক বিষয় হল, পজিটিভিটির রেটও কিন্তু ক্রমেই বাড়ছে। এই হার কিছুদিন আগেই ছিল ২ এর নিচে। পরশুদিন তা বেড়ে হল সাড়ে ৫ এর আশপাশে। আর বর্ষশেষের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, তা আরও বেড়ে হয়েছে প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ। অর্থাৎ যতজন পরীক্ষা করাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।