পঞ্জাব পুলিসের (Punjab Police) মোহালিতে ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের সদর দফতরে রকেট চালিত গ্রেনেড (আরপিজি) হামলা (Rocket Attack) চালিয়েছিল অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীরা। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীদের পরিচয়। গায়ক সিধু মুসেওয়ালার (Sidhu Moose Wala) হত্যাকারী গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই-এর (Lawrence Bishnoi) সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত দুই ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে পঞ্জাব পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে পুলিস হামলাকারীদের ধরতে পেরেছে। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের এক দোসর আরপিজি হামলা মামলার প্রধান অভিযুক্ত। উল্লেখ্য, ৯ মে, মোহালিতে পঞ্জাব পুলিসের গোয়েন্দা সদর দফতরে রাস্তা থেকে একটি রকেট চালিত গ্রেনেড বা আরপিজি ছোড়া হয়েছিল। দীপক নামে ওই অভিযুক্ত তার এক সহযোগীর সঙ্গে একটি আরপিজি নিয়ে পুলিস সদর দফতরে হামলা চালায়।
হামলার ঠিক আগের একটি সিসিটিভি ছবিতে ওই এলাকায় গ্যাংস্টার দীপক ও তার সহযোগীকে দেখা গিয়েছে। দীপককে ফোনে কথা বলতেও দেখা যায়। কথা চলাকালীন তার সঙ্গে কালো মুখোশ পরা এক যুবককে হাঁটতে দেখা গিয়েছে।
পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং খালিস্তানি সন্ত্রাসীরা পঞ্জাবে লরেন্স বিষ্ণোয়ের মতো গ্যাংস্টারদের ব্যবহার করছে কিনা তা পুলিস তদন্ত করছে। দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল এবং চণ্ডীগড় গোয়েন্দাদের তদন্তে আরপিজি হামলার চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, গ্যাংস্টার দীপক, হরিয়ানার ঝাজ্জরের বাসিন্দা এবং বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে হাফ ডজনেরও বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। হামলায় দীপকের সঙ্গে সহযোগিতা করেছিল উত্তরপ্রদেশের এক নাবালক ছেলে। পুলিস সদর দফতরে গ্রেনেড হামলা চালানোর পর থেকেই পলাতক রয়েছে সে।