Share this link via
Or copy link
আর কয়েক ঘন্টার মধ্যে ভারতে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে পর্বে। এবার উৎসবের মেজাজ দেশের সবকটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু ব্যাপক আয়োজনে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার অনেকটাই দায়িত্ব নিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আবেদনে। দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জাতীয় পতাকা ঝলমল করছে। ব্যতিক্রম নয় এই রাজ্যও| এজেন্সির চাপ যতই থাক রেড রোড সেজে উঠছে ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে। অন্যদিকে স্বাধীনতা দিবসে দেশের প্রধানমন্ত্রী গোড়ার দিন থেকে লালকেল্লা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে থাকেন। পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু থেকে এই ট্র্যাডিশন সামনে চলে এসেছে। এবার পালা ফের নরেন্দ্র মোদীর। শোনা যাচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের দিন নাকি অনেক চমক থাকবে লালকেল্লায়| আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিদেশী বহু অতিথিকে। তেরঙ্গায় মুড়ে ফেলা হয়েছে আলোর ঝলকানিতে লালকেল্লা।
স্বাধীনতা দিবসে দীর্ঘদিন কংগ্রেসের একটা ভূমিকা ছিল কারণ মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বকে আজও সম্মান জানানো হয়ে থাকে। প্রথম মন্ত্রিসভায় দু-একজন বাদ দিয়ে জওহরলাল সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীকে মন্ত্রিত্ব দিয়েছিলেন। ইন্দিরা জমানা অবধি সেই ট্র্যাডিশন বজায় ছিল। অবশ্য তারপর বেশিরভাগ নেতাই প্রয়াত হয়েছিলেন বয়সজনিত কারণে।
১৯৭২-এ স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী উদযাপিত হয়েছিল ধুমধাম করে। কারণ তখন সদ্য পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ গঠন করার অন্যতম কারিগর ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতাকে সরিয়ে এ রাজ্যে ক্ষমতায় ফেরে কংগ্রেস। কিন্তু এরপর স্বাধীনতার ৫০ বছর পালনের সরকারি দায়িত্বে ছিল না কংগ্রেসের। কারণ সেই সময় কেন্দ্রে প্রধান শাসক দল হাত শিবির নয়। এবারও কংগ্রেসের ভূমিকা থাকছে না, দায়িত্বে যেহেতু বিজেপি সরকার।
স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কমিউনিস্টরা ছাড়া আর কারও উৎসব পালনে আপত্তি ছিল না। বামেরা মনে করতো এই স্বাধীনতা মিথ্যা, তারা বলে ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায়। আজ অবশ্য বিভিন্ন বামপন্থীরাও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে থাকেন। দেশের বিভিন্ন স্কুলে এবার আবার ৭৫ বছর উপলক্ষে বড় করে অনুষ্ঠান হচ্ছে। ছোট ছেলেমেয়েদের মধ্যে ইন্টারনেটের যুগেও স্বাধীনতা, পূর্ণ স্বরাজ, মাত্রভূমি এবং দেশ মানে নিজের সবকিছু এসব মনে করিয়ে দেওয়ার একমাত্র গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত সরকারের।