মধুচক্রে ফেঁসে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে (Pak ISI) গোপন তথ্য পাচারের দায়ে ধৃত বায়ুসেনার সার্জেন্ট। দিল্লির সুব্রত পার্কে ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) রেকর্ড অফিসে কর্মরত দেবেন্দ্র শর্মা। তাঁর বিরুদ্ধেই দিল্লি পুলিসের অভিযোগ দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ নথি এক মহিলাকে (Honey Trap) ফাঁস করার। ঘটনাচক্রে দেবেন্দ্রকে নিজের লাস্য এবং মোহে ফাঁসানো সেই মহিলা পাক গুপ্তচর। তদন্ত এমনটাই জানতে পেরেছে দিল্লি পুলিস।
এই ঘটনায় ধৃত দেবেন্দ্র সহ-প্রশাসক বা জিডি হিসেবে সুব্রত পার্কের অফিসে কর্মরত ছিলেন। তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তল্লাশি চালিয়ে একাধিক গ্যাজেট এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছে দিল্লি পুলিস। অফিসিয়াল সিক্রেট আইনের একাধিক ধারায় ধৃতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে দিল্লি পুলিস।
তদন্তে জানা গিয়েছে, শুধু মধুচক্র নয়, হোয়াটস অ্যাপ নথি ফাঁসের বিনিময়ে অর্থও নিয়েছেন দেবেন্দ্র। ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযোগের ভিত্তিতে এই তদন্ত শুরু করে দিল্লি পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, গত বছর জুলাইয়ে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে একজন সেনাকর্মী ছিলেন। পাক গুপ্তচর সংস্থাকে গোপন নথি ফাঁসের অভিযোগেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
সম্প্রতি পোখরান সেনা ছাউনির সামনে থেকে এই সবজি বিক্রেতাকে গ্রেফতার করে রাজস্থান পুলিস। তাঁকে জেরা করে অপর এক সেনাকর্মীর সন্ধান মিলেছিল। এই অভিযুক্তও আইএসআইকে ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচার করতেন সেই সবজিওয়ালার মাধ্যমে। এমনটাই তদন্ত রিপোর্টে জানতে পেরেছে ভারতীয় বায়ুসেনা।