Share this link via
Or copy link
পলাতক পঞ্জাবের (Punjab) বিচ্ছিন্নতাকামী, খলিস্তানপন্থী স্বঘোষিত নেতা অমৃতপাল সিং (Amritpal Singh)। তাকে হাতে পেতে মরিয়া পঞ্জাব পুলিস। অমৃতপাল সিংকে খুঁজে বের করতে গোটা পঞ্জাবজুড়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি। পঞ্জাব পুলিস সূত্রে খবর, তার বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এল এক সিসিটিভি ফুটেজ। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে সে মার্সিডিজ গাড়ি থেকে নেমে মোটর বাইকে চেপে রাজ্য ছেড়ে পালাতে সক্ষম হয়েছে। কারণ পুলিসের অনুমান, সে এতক্ষণে রাজ্যের সীমা পেরিয়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, শনিবার জলন্ধরের এক টোল প্লাজার সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তার এক ঝলক দেখা গিয়েছে, সেসময় সে একটি মারুতি ব্রেজা গাড়ির সামনের দিকে বসেছিল। এই ফুটেজটি শনিবার সকাল ১১টা ২৭ মিনিটের। জানা গিয়েছে, অমৃতপাল সিং প্রথমে একটি মার্সিডিজ এসইউভি গাড়িতে ছিল, এরপর গাড়ি পরিবর্তন করে মারুতি ব্রেজাতে চেপে শাহকোটের দিকে রওনা দেয়। সেখানেই সে তার জামা-কাপড়, পাগড়ি বদলে ফেলে। এরপর দুই ঘনিষ্ঠের সহায়তায় একটি বাইকে করে পালিয়ে যায় সে। বাইকে করে পালানোর সময় তাকে একটি গোলাপি রংয়ের পাগড়ি ও শার্ট-প্যান্টে দেখা যায়। উল্লেখ্য, গত শনিবার থেকেই অমৃতপালকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পঞ্জাব পুলিস। শনিবার দুপুর থেকে গোটা রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে শেষমেশ পুলিসের নাকের নীচ দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে অমৃতপাল।
পুলিস সূত্রে খবর, সোমবার ব্রেজা গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে ও যে চারজন অমৃতপালকে পালাতে সাহায্য করেছিল, তাদেরও গ্রেফতার করেছে পুলিস। এখনও পর্যন্ত অমৃতপালের কাকা-সহ ১২০ জনের বেশি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 'ওয়ারিস পঞ্জাব দে' নামের চরমপন্থী সংগঠনের কিছু সদস্যদের জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিসের চোখের সামনে থেকেই বারবার পালিয়ে যাচ্ছে অমৃতপাল। ফলে এই ঘটনায় পঞ্জাব সরকার ও পঞ্জাব পুলিসকে ভর্ৎসনা করেছে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। প্রশ্ন করেছে আদালত, 'আপনাদের ৮০ হাজার পুলিসকর্মী রয়েছে। কী করছেন তাঁরা? কীভাবে পালিয়ে যাচ্ছে অমৃতপাল সিং?' এটিকে 'প্রযুক্তির ব্যর্থতা' বলেই উল্লেখ করেছে হাইকোর্ট।