সরকারি প্রাইমারি স্কুলের (Primary School) প্রধান শিক্ষিকা (Head Mistress) তিনি। মাইনে (Salary) প্রায় ৭০ হাজার টাকা। কিন্তু নিয়মিত স্কুলেই আসেন না তিনি। তাই বলে তাঁর হাজিরা (Attendance) আটকে নেই। খাতায় কলমে দেখা যাচ্ছে, নিয়মিত স্কুলে আসেন তিনি। অথচ গত পাঁচ মাস ধরে তাঁকে স্কুলে দেখেননি পড়ুয়া (Student) থেকে গ্রামবাসীরা।
উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) পারুই গাড়োয়াল জেলার একেশ্বর ব্লকের বানথোলি গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের ঘটনা। নিজের হাজিরা দেওয়ার জন্য গ্রামেরই এক বেকার যুবতীকে ভাড়া করেছিলেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ধ্রুপদী মাধায়াল। সেই যুবতীই রোজ স্কুলে আসেন। ক্লাস করান। বদলে ওই প্রধান শিক্ষিকা তাঁকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা দেন। গ্রামবাসীদের থেকে অভিযোগ পেয়ে সম্প্রতি ওই স্কুলে অভিযান চালান শিক্ষা দফতরের অফিসাররা। তখনই সামনে আসে এই জালিয়াতি। এরপর ওই প্রধান শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
সে রাজ্যের শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয় ওই স্কুলে। কিন্তু সেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা মাত্র ১২ জন। গত কয়েক মাস ধরেই স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ আসছিল, প্রধান শিক্ষিকা নিয়মিত স্কুলে আসেন না। অভিযোগ পেয়ে সম্প্রতি ওই প্রাইমারি স্কুলে হানা দিয়েছিলেন জেলা শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা।
ওই প্রাইমারি স্কুলে অভিযানের পর জেলার আধিকারিকদের তরফে শিক্ষা দফতরে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। ওই প্রধান শিক্ষিকাকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে তাঁকে একেশ্বর ব্লক শিক্ষা দফতরে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।