সপ্তাহে চারদিন কাজ আর তিনদিন ছুটি। শুনেই মনটা কেমন আনন্দে ভরে গেল তাই না? সত্যি সত্যি যদি এমনটা হত কতই না ভালো হত। রোজকার ট্রেনে- বাসে বাদুড় ঝোলার মত ঝুলে অফিস পৌঁছানোর ঝক্কিটা কিছুটা হলেও কমত। হ্যাঁ এমনই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ব্রিটেন সরকার। খুব শীঘ্রই এই নিয়ম চালু হতে পারে ব্রিটেনে।
ব্রিটেন সরকার প্রথমে এটি পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে চালু করতে চায়। কী কী সুবিধা হচ্ছে বা কী কী অসুবিধের মধ্যে পড়তে হচ্ছে তা এই প্রজক্টের মাধ্যমে প্রথমে দেখা হবে। ব্রিটেনের প্রায় ১২টি কোম্পানিতে প্রথম এই পাইলট প্রজেক্ট চালু করা হবে। সেই কোম্পানিগুলি এতে রাজিও হয়ে যায়। আগামী জুন মাস থেকেই এই পরীক্ষামূলক কাজের পদ্ধতি শুরু করা হবে। ডিসেম্বর পর্যন্ত চালু থাকবে এই প্রজেক্ট। তারপরে এই নিয়মই চলবে কিনা, তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইতিমধ্যে ৩০ টি ব্রিটিশ কোম্পানি এই প্রজেক্ট চালুর পক্ষে মত দেন। সপ্তাহে কর্মীদের কাজের সময় ৩২ ঘণ্টা। আর এই প্রস্তাবে সায়ও দিয়েছেন তাঁরা। এমনকি কর্মীদের কাজের সময় কমানোর দরুন তাঁদের বেতন বা অন্য কোনো সুযোগ সুবিধায় প্রভাব পড়বেনা বলেও জানান তারা। এই ৩২ ঘণ্টায় যা কাজ তা প্রয়োজনে কর্মীরা ৫ দিনেও সম্পন্ন করতে পারেন বলে প্রস্তাবে বলা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের পিছনে যে যুক্তি দেখিয়েছেন ব্রিটেন সরকার তা হল, কর্মীরা ভালোভাবে থাকলে কাজের পরিমাণ আপনাআপনি বাড়ে। এই ধরনের পরীক্ষামূলক পদ্ধতি এর আগে আয়ারল্যান্ড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও করা হয়েছিল। বিশ্বের আরও বেশ কিছু দেশও এই পদ্ধতি পরীক্ষা করে দেখবে বলে জানা যায়। তার মধ্যে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ড অন্যতম। ভারতেও এ নিয়ে ভাবা হচ্ছে বলে খবর। তবে এক্ষেত্রে ভারতে সময়সীমার পরিমাণ কিছুটা বাড়বে।