১৬ শিবসেনা বিধায়কের পদ খারিজে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারের কাছে সুপারিশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। এবার সেই সুপারিশকে সামনে রেখে ওই বিধায়কদের নোটিশ পাঠান বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার নরহরি জিরওয়াল। কেন ওই ১৬ বিক্ষুব্ধ বিধায়কের পদ খারিজ হবে না? জানতে চাওয়া হয়েছে নোটিশে। সোমবারের মধ্যে জবাব দিতে হবে ওই ১৬ জনকে।
এদিকে, শনিবার শিবসেনার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডেকেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। করোনা আক্রান্ত উদ্ধবের সেই বৈঠকে ভার্চুয়াল উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও, সশরীরে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকে শিবসেনাকে অটুট রাখতে এবং দলবিরোধী কাজে যুক্ত বিধায়কদের শায়েস্তা করতে ছ’দফা প্রস্তাব গৃহীত হয়। পাশাপাশি দল তথা সরকারকে বিপদে ফেলার নেপথ্যে কারিগরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উদ্ধবকে একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা দিল কর্মসমিতি।
এদিকে, শনিবার সকাল থেকেই একাধিক বিক্ষুব্ধ শিবসেনা বিধায়কদের অফিসে হামলা চালিয়েছে দলের কর্মী-সমর্থকরা। বিকেলে থানের উল্লাসনগরে একনাথের ছেলে তথা শিবসেনা সাংসদ শ্রীকান্ত শিন্ডের দফতরে ভাঙচুর চালান হয়েছে। সকালে দুই বিদ্রোহী বিধায়ক, পুণের তানাজি সাওয়ন্ত এবং ওসমানাবাদের জ্ঞানরাজ চৌগুলের দফতরেও হামলা হয়েছে। তবে এই আবহে বিদ্রোহী বিধায়কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবকে চিঠি লিখলেন একনাথ শিন্ডে।
তাঁর অভিযোগ, ‘বিদ্বেষের কারণে আমাদের শিবিরের ৩৮ জন বিধায়কের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করেছে মহারাষ্ট্র সরকার।’ ইতিমধ্যে তাঁদের পরিবারের উপরে হামলা হতে পারে, এই আশঙ্কায় একনাথ শিন্ডের কাছে নিরাপত্তা দাবি করেছেন তাঁর শিবিরের বিধায়করা।