দিল্লির বাতাসে শ্বাস নিতেও ভয় পাচ্ছেন সাধারণ নাগরিক। কুয়াশার মতো বিষবায়ুতে ঢেকে রয়েছে দিল্লির আকাশ। লাগামহীন বায়ুদূষণ। নাভিশ্বাস উঠছে জনজীবনের। আর সেই কারণেই পরবর্তী নোটিশ না পাওয়া পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।। মঙ্গলবার রাতে, দ্য কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট-এর তরফে জানানো হয়, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সব ধরনের সরকারি, বেসরকারি স্কুল-কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
আবার দিল্লিকে ফিরে যেতে হবে করোনাকালে। অর্থাৎ করোনাকালে দিল্লির স্কুল-কলেজে যেভাবে ক্লাস নেওয়া হতো, সেই পরিস্থিতিই যেন ফিরে আসছে। বুধবার থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার নির্দেশিকা জারি করেছে এনসিআর। আর এনসিআর-এর অন্তর্ভুক্ত রাজ্যগুলি, যেমন, দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশকেও মানতে হবে এই নির্দেশিকা। এইসব রাজ্যে সরকারি কর্মীদের ৫০ শতাংশকে বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও একই নির্দেশনামা মেনে চলতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও আরও কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে এনসিআর। দূষণ রুখতে ওই অঞ্চলগুলিতে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বহনকারী ট্রাকগুলির আগামী রবিবার পর্যন্ত দিল্লিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সাথে ডিজেল এবং পেট্রোলচালিত ১০ থেকে ১৫ বছরের পুরোনো গাড়ি রাস্তায় চলাচল করতে পারবে না বলে নির্দেশ এনসিআর-এর।
এছাড়াও ২১ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে দিল্লি ও সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে নির্মাণকাজ। এক্ষেত্রে রেল পরিষেবা, স্টেশন তৈরির কাজ, মেট্রো রেল কর্পোরেশনের কাজ, বিমানবন্দর ও আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনাস তৈরি এবং জাতীয় সুরক্ষা বা প্রতিরক্ষা বিষয়ক সব কাজই আপাতত রাখতে হবে বন্ধ।
প্রসঙ্গত, বায়ু দূষণের বিষয়ে এই নির্দেশ আসার আগে মঙ্গলবার বৈঠকে বসেন দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সুপ্রিম কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার পর এদিন দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, লকডাউনের মত কড়া সিদ্ধান্ত নিতেও তারা প্রস্তুত। প্রয়োজনে সপ্তাহান্তে লকডাউনও করা হতে পারে।