সিধু মুসেওয়ালার হত্যাকাণ্ডে জড়িত দু'জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিস। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের মূল চক্রী-সহ অপরাধের সহযোগী একজন রয়েছে। গোল্ডি ব্রার গ্যাংয়ের এই দুই সদস্যকে বহু দিন ধরেই খুঁজছিল পুলিস। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নির্দেশে কাজ করত অঙ্কিত শীর্ষ। আর তাকে আশ্রয় দিয়েছিল শচীন ভিওয়ানি।
সোমবার দিল্লি পুলিসের কর্তা হরগোবিন্দ সিংহ ধালিওয়াল সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, 'সিধুকে তাঁর গাড়ি ঘিরে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল যারা, তাদের মধ্যে অন্যতম অঙ্কিত। এই হামলার সঙ্গে জড়িত চার শ্যুটারকে আশ্রয় দিয়েছিল শচীন। রবিবার দিল্লির কাশ্মীরি গেট বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।'
হরিয়ানার শোনপতের বাসিন্দা অঙ্কিতের বিরুদ্ধে রাজস্থানে আরও দু’টি খুনের মামলায চলছে। জানা গিয়েছে, শ্যুটারদের মধ্যে সে সবচেয়ে ছোট। তবে শুধু অঙ্কিত নয়, শচীনও রাজস্থানে একটি মামলায় অভিযুক্ত।
দিল্লি পুলিস সূত্রে খবর, রাজস্থানে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সমস্ত কাজকর্ম পরিচালনা করত ভিওয়ানি। ধৃতদের থেকে ১০টি কার্তুজ, একটি নয় মিলিমিটার বোরের পিস্তল, ৩০ মিলিমিটার বোরের পিস্তল-সহ ৯টি গুলি ভরা কার্তুজ উদ্ধার করেছে।
মিলেছে পঞ্জাব পুলিশের তিনটি উর্দি, একটি ডঙ্গল এবং একটি সিম-সহ জোড়া মোবাইল সেট। গত মাসেই এই হত্যাকাণ্ডে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যাদের থেকে আটটি গ্রেনেড, তিনটি পিস্তল এবং একটি অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার হয়েছিল। ২৯ মে গায়ক তথা রাজনীতিবিদ সিধু মুসেওয়ালাকে পঞ্জাবে তাঁর গ্রামে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।