অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী রবিবার অবস্থান স্পষ্ট করেছে। এই প্রকল্প নিয়ে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি দূর করতে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেছে তিন বাহিনী। কিন্তু কংগ্রেসের দাবি, অগ্নিপথের মতো প্রকল্প দিয়ে দেশের যুবসমাজ ও সেনাবাহিনীর ক্ষতি করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। রবিবার দিল্লিতে কংগ্রেস আয়োজিত সত্যাগ্রহ কর্মসূচিতে এভাবেই কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী।
তিনি বলেন, 'দেশের যুব সমাজ ও সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করে দেবে কেন্দ্রের এই প্রকল্প। যুব সমাজ ও সেনা, এরাই দেশকে রক্ষা করে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির কারণে তারা বিভ্রান্ত। দেশের সুরক্ষার স্বার্থে এই প্রকল্প ধ্বংসাত্মক। দয়া করে এই সিদ্ধান্ত দেখে মানুষ এই সরকারের পতন ঘটাবেন। বদলে এমন একটি সরকার নিয়ে আসুন যা জাতির জন্য সত্যি সত্যিই কাজ করবে। দেশের সম্পদ রক্ষা করবে। আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদই এই ধংসাত্মক প্রকল্পকে রুখবে।'
এদিকে, ভারতীয় সেনার অগ্নিপথ প্রকল্প ঘিরে দেশব্যাপী তৈরি হওয়া অসন্তোষের আবহে সাংবাদিক বৈঠক প্রতিরক্ষা বাহিনীর। ভারতীয় সেনার তিন সশস্ত্র বাহিনীর কর্তারা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকের মূল উপলক্ষ্য, মোদী সরকার গৃহীত অগ্নিপথ প্রকল্পের ইতিবাচক দিক দেশের তরুণদের কাছে তুলে ধরা। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা দফতরের অতিরিক্ত সচিব লেফটান্যান্ট জেনারেল অনিল পুরী। ভাইস অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠী, এয়ার মার্শাল এসকে ঝা।
তিন বাহিনীর তরফে স্পষ্ট বার্তা, 'চলতি বিক্ষোভে যারা অংশ নিয়েছেন তাঁদের জন্য অগ্নিপথে যোগদান জটিল। নিয়োগ ফর্মে তাঁদের লিখতে হবে চলতি প্রতিবাদে তাঁরা অংশ ছিলেন কিনা। সেই মোতাবেক পুলিস তথ্য-প্রমাণ যাচাই করবে। যদি চাকরিপ্রার্থীর নামে এফআইআর থাকে, তবে তাঁর আবেদন পত্র বাতিল হবে।' তারা জানিয়েছে, সেনাবাহিনী শৃঙ্খলার জায়গা। নৈরাজ্য এবং উশৃঙ্খলতার কোনও জায়গা নেই। তাই চলতি প্রতিবাদ-বিক্ষোভে কোনও চাকরি প্রার্থী অংশ নেয়নি। সেই সংক্রান্ত শংসাপত্র দেখেই তাঁদের নিয়োগ করা হবে।