শুক্রবার থেকে রাজস্থানের যোধপুরে কংগ্রেসের 'চিন্তন শিবির' শুরু হচ্ছে। চলবে তিন দিন সারা দেশের প্রায় ৪৫০ জন প্রধান নেতাদের এই শিবিরে আসতে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। ২০১৩ পর সম্ভবত এই সভা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এবারে। চিন্তন বিষয়টি কী? জানা গিয়েছে, দল যখন সংকটে বা নির্দিষ্ট কোনও দেশজ সমস্যায় পরে তখনই নাকি ডাকা হয়ে থাকে এই শিবির। এর আগে ইন্দিরার সময় থেকে বিক্ষিপ্তভাবে এই চিন্তন শিবির ডাকা হয়েছে। বর্তমানে ঘোর সংকটে জাতীয় কংগ্রেস দলটি।
এক সময়ের সবচাইতে বড় দল আজ প্রায় আঞ্চলিক দলে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনে জমি হারিয়েছে তারা। পশ্চিমবঙ্গে একটিও আসন নেই বিধানসভায়। উত্তরপ্রদেশের ৪০৩ আসনের মধ্যে ১০টি আসনও জোটেনি তাদের। দলের অভ্যন্তরে বিদ্রোহ রয়েছে, যে কারণে বিদ্রোহীদের জি-২৩ নামকরণ হয়েছে। দু'বছর বাদে ফের লোকসভা নির্বাচন,খবর যা সাকুল্যে ৫০/৬০-র বেশি সারা দেশ থেকে আসন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই তাদের বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু এই দশা হল কেন অথবা এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় আছে কি, এটাই শিবিরে নাকি আলোচনা হবে।
কংগ্রেস, গান্ধী পরিবারের থেকে বেরিয়ে নতুন ভাবনা বা নতুন নেতা খোঁজার আদৌ কোনও ইচ্ছা আছে কি? গান্ধী পরিবারের কাছে কংগ্রেস দলটি অনেকটা নিজেদের জমিদারি হয়ে গিয়েছে বলে কটাক্ষ করে থাকে বিজেপি দল। নরেন্দ্র মোদী থেকে যোগী আদিত্যনাথ যে পরিশ্রম করে বিজেপি দলটিকে ভারতে পয়লা নম্বরের দলে পরিণত করেছেন সেই আগ্রহ রাহুল গান্ধীর আছে কি? শোনা যায় রাহুল বা প্রিয়াঙ্কার কোনও বিষয়ে আন্দোলন করার ধৈর্য মোটেই নেই। কোনও ইস্যু নিয়ে হয়তো তাঁরা আন্দোলনের শুরুতে থাকেন কিন্তু দ্রুত বেরিয়েও আসেন তার থেকে। দেশের নেতারা অসহায়। একসময় বিপদ বুঝে ইন্দিরা বা রাজীব যেমন দেশজুড়ে অনুষ্ঠান করেছিলেন তার ধারেকাছেও নেই রাহুল গান্ধী। কার্যত এই চিন্তন বৈঠক থেকে বড় কিছু প্রাপ্তি হওয়ার সম্ভবনা নেই। ফের দাবি উঠবে রাহুলকে সর্বভারতীয় সভাপতি করতে হবে এবং সেখানেই ইতি।