এখনই করোনা রক্ষাকবচ (Covid Rules) ঢিলে করবেন না। রাজ্যগুলোকে নতুন করে গাইডলাইন পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Health Ministry। ইতিমধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপে হুহু করে বাড়ছে সংক্রমণ। তাই রাজ্যগুলো করোনা প্রতিরোধে আগের মতো ৫ কৌশল নীতি নিয়ে চলুক। টেস্ট, ট্র্যাক, চিকিৎসা, করোনাবিধি এবং টিকাকরণ--এই পাঁচ পন্থায় এযাবৎকাল করোনা নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় ওঠানামা অব্যাহত। এখনও পর্যন্ত তা ২৪ ঘণ্টায় ১০০ ছাড়ায়নি, এটাই কিছুটা হলেও স্বস্তির। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ জন। ওই সময়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। উল্লেখ্য, একদিন আগেই বৃহস্পতিবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯৪। সেই হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে মনে হলেও বাস্তবে কিন্তু কদিন আগে এটা ৫০ এর নিচে নেমে এসেছিল। তাই করোনা নির্মূল হওয়ার মুখে এসেও ওঠানামা করায় দুশ্চিন্তা পুরোপুরি কাটছে না।
পজিটিভিটি রেটও বৃহস্পতিবার বেড়ে হয়েছিল ০.৫৩ শতাংশ। সেটা এদিন কমে হয়েছে ০.৩৩ শতাংশ। মানুষ নমুনা পরীক্ষার ব্যাপারে এখনও যে ভিড় করছেন, তা পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। গত দুদিন ধরেই নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১৮ থেকে ১৯ হাজারের মধ্যে রয়েছে।
অন্যদিকে, সোমবার থেকে গোটা রাজ্যজুড়ে শুরু হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া। সমস্ত ধরনের প্রস্তুতি শেষ, জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী।
গত ১৬ ই মার্চ, গোটা দেশজুড়ে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের জন্য ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। জানানো হয়েছে, প্রত্যেককে কর্বোভ্যাক্স ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। প্রস্তুতি না থাকায় রাজ্যে বুধবার থেকে ১২-১৪ বছর বয়সীদের করোনা টিকাকরণ (12-14 year vaccination) চালু হয়নি। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে সেদিনই জানানো হয়েছিল, এই কর্মসূচি রাজ্যজুড়ে চালু করতে আরও ২-৩ দিন সময় লাগবে। তবে রাজ্যের হাতে পর্যাপ্ত টিকা (Covid Vaccination) রয়েছে। এমনটা জানিয়েছিলেন পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।