Share this link via
Or copy link
রাত ১১টার পর বাড়ির বাইরে থাকা অপরাধ। আর এর শাস্তিস্বরূপ দম্পতিকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা (Fine) পুলিসের। অনেক কথা কাটাকাটির পর ১ হাজার টাকায় রফা হয় বিষয়টি। এমন আইন হয়ত ভারতবর্ষের কোনও প্রান্তেই নেই। ভয়ানক সেই অভিজ্ঞতার কথা সমাজমাধ্যমে (Social Media) ভাগ করে নিয়েছেন বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) বাসিন্দা কার্তিক পত্রী।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা নাগাদ বেঙ্গালুরু পুলিসের এই হয়রানির শিকার হয়েছেন ওই দম্পতি। জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির প্রায় কাছেই পথ আটকায় দুই পুলিস আধিকারিক। তাঁদের জানায় রাত ১১ টার পরে বাড়ির বাইরে থাকা একপ্রকার 'আইন লঙ্ঘন'। এরপর তাঁদের কাছে প্রথমে পরিচয় পত্র দেখতে চান ওই আধিকারিকরা। ফোনে আধার কার্ডের ছবি দেখাতেই ৩০০০ টাকা জরিমানা করেন বলে অভিযোগ জানান ওই দম্পতি।
কার্তিক জানিয়েছেন, ওই পুলিসকর্মীদের দাবি মতো মোবাইল ফোনে আধার কার্ডের ছবি দেখান তাঁরা। অভিযোগ, সেই ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। এর পরই তাঁদের মধ্যে এক জন চালানের বই বার করে আমাদের নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করতে শুরু করেন। কার্তিক জানতে চান, কেন এ সব চাওয়া হচ্ছে? অভিযোগ, তখন এক পুলিশকর্মী তাঁদের ধমকের সুরে বলেন, “রাত ১১টার পর রাস্তায় ঘোরার কোনও অনুমতি নেই।” কার্তিক বলেন, “এমন কোনও আইন তিনি শোনেননি। যদিও পুলিশের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তর্কে যেতে চাইনি।” বরং এই ধরনের নিয়ম সম্পর্কে অবহিত না থাকার জন্য পুলিসকর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন দম্পতি। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি বলে জানান কার্তিক।
I would like to share a traumatic incident my wife and I encountered the night before. It was around 12:30 midnight. My wife and I were walking back home after attending a friend’s cake-cutting ceremony (We live in a society behind Manyata Tech park). (1/15)
— Karthik Patri (@Karthik_Patri) December 9, 2022
অভিযোগ, এরপরই তাঁদের ৩০০০ টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়। এরপর অনেক অনুরোধ করার পর একজন আধিকারিক একপাশে নিয়ে গিয়ে বলেন, ১০০০ টাকা দিলে সব ঝামেলা মিটিয়ে দেবেন। এরপর তাঁরা অ্যাপের মাধ্যমে টাকা দেন। এরপর তাঁরা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস তদন্ত শুরু করে। তদন্তের নেমে সাম্পিগেহাল্লি থানার সঙ্গে সংযুক্ত একজন কনস্টেবল এবং একজন হেড কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়েছে।