আত্মহত্যার (Suicide) পরিকল্পনা। আর তা বাস্তবায়নের পদ্ধতি। সত্যি যেন সাজানো কোনও সিনেমার প্লট (Cenema plot)। ঘরে ঢুকলেই সবার আগে নজরে আসবে একটি সুইসাইড নোট (Suicide Note)। তাতে লেখা, ঘরে চরম বিষাক্ত গ্যাস কার্বন মনোক্সাইড রয়েছে। (টু মাচ ডেডলি গ্যাস… কার্বন মনোক্সাইড ইনসাইড)। খুব সাবধানে ঘরের পর্দা সরাবেন। নিঃশ্বাস নেবেন না (বি কেয়ারফুল হোয়াইল রিমুভিং দ্য কার্টেন বিকজ রুম ইজ ফুল অব হ্যাজার্ডাস গ্যাস। ডু নট ইনহেল)। ঘরে ঢুকেই দেশলাই বা আগুন জ্বালাবেন না। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়। আর ঘরের ভিতর পড়ে রয়েছে মা ও দুই মেয়ের নিথর দেহ (Dead Body)। এ যেন ঠিক ব্যোমকেশের অগ্নিবাণ গল্প। যেখানে স্ত্রীকে মারতে তৈরি করা অস্ত্রে অকাল মৃত্যু হয় বিজ্ঞানীর মেয়ের।
ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির (Delhi) বসন্ত বিহারে। জানা গিয়েছে, করোনায় (Corona) প্রাণ হারিয়েছেন বাবা। তারপর থেকেই বিছানা নিয়েছেন মা মঞ্জু দেবী। চলন-বলনের ক্ষমতা প্রায় হারিয়েছিলেন। মানসিক অবসাদগ্রস্ত (mentally depressed ) হয়ে পড়েছিলেন দুই মেয়ে অংশিকা এবং অঙ্কু। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, আশেপাশের কারোর সঙ্গেই মিশতেন না তাঁরা। একাই একাই থাকতেন। বেশ কয়েকদিন ধরে তাঁদের দেখতেও পাননি তাঁরা। ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ অবস্থায় দেখে সন্দেহ হয়েছিল। দু-একবার দরজা ধাক্কা দিয়েও না খোলায় স্থানীয়রা পুলিসে খবর দেন।
পুলিস (Police) এসে ডাকাডাকি করেও কোনওরকম সাড়া পায়নি। এরপর দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই রীতিমতো চার হাত পিছিয়ে গেলেন সকলে। ঝাঁঝালো গন্ধে নিঃশ্বাস নেওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। তারপর চোখে এল সতর্কবাণী লিখিত কাগজটি। এরপর কোনও মতে ঘরে ঢুকতেই মা ও দুই মেয়ের মৃতদেহ দেখতে পায় পুলিস। রীতিমতো ঘর ঘুটঘুটে অন্ধকার। জানলা-দরজা এমনভাবে প্লাস্টিকে মোড়া যাতে অক্সিজেন কোনভাবে ঘরে প্রবেশ করতে না পারে। আর রান্না ঘরের গ্যাসের নব খোলা।
এমন ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, পরিকল্পিতভাবে আত্মহত্যা করেছেন তিনজন। তবে দেহ ময়নাতদন্তের (autopsy ) জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আসল কারণ জানা যাবে না।