২৯ মার্চ, ২০২৪

Court: মহিলাদের বিরুদ্ধেও গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা হতে পারে: এলাহাবাদ হাইকোর্ট
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-02-15 11:48:26   Share:   

কেবল পুরুষ নয়, এবার থেকে মহিলাদের বিরুদ্ধেও দায়ের করা হবে গণধর্ষণের (GangRape) মামলা। এমনটাই জানাল এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court)। বিচারপতি শেখরকুমার যাদবের সিঙ্গল বেঞ্চ ১৮৬০-এর ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১৩ সালে সংশোধিত ১৩ নম্বর আইন পর্যবেক্ষণ করে এই রায় শোনান। ২০১৩ সালে সংশোধিত ৩৭৫ এবং ৩৭৬(ই)-র নতুনভাবে বিবেচনা করতে গিয়ে বিচারপতি যাদব বলেন, 'কোনও মহিলা ধর্ষণ করতে পারেন না। কিন্তু ধর্ষকদের অর্থাৎ এক দল লোককে এই কাজ করতে সাহায্য করলে ওই মহিলার বিরুদ্ধেও গণধর্ষণের মামলা হতে পারে।'

প্রসঙ্গত, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী কোনও মহিলার ইচ্ছার বিরুদ্ধে এবং জোর করে বা ভয় দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা আইনের চোখে জঘন্যতম অপরাধ। সেই মহিলা যদি ১৬ বছরের নীচে হন, সেক্ষেত্রে মহিলার ইচ্ছা এবং অনিচ্ছা উভয় ক্ষেত্রেই তা অপরাধযোগ্য বলে বিবেচ্য হবে।

অন্যদিকে, ২০১২ সালে দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের পর ফৌজদারি দণ্ডবিধি সংশোধন করে ধর্ষণের সাজা ‘মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে’ বলে ৩৭৬-ই ধারা যুক্ত করা হয়েছিল। সুনীতা পান্ডের দায়ের করা একটি আবেদন নিয়ে এদিন আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া চলছিল। মহিলাকে আইপিসির ৩৭৬-ডি, ২১২ ধারার অধীনে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য তলব করা হয়েছিল।

এফআইআর অনুসারে, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৫ সালে। ১৫ বছর বয়সী একটি মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ১৬১ এবং ১৬৪ সিআরপিসি ধারার অধীনে রেকর্ড করা বিবৃতিতে ওই কিশোরী জানিয়েছিলেন, এই ঘটনার সঙ্গে একজন অভিযুক্ত জড়িত ছিলেন। যদিও অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত মহিলার নাম ছিল না, পরে তাঁকে গণধর্ষণের জন্য বিচারের মুখোমুখি করার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল।

অভিযুক্ত মহিলার পক্ষের আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন যে, ট্রায়াল কোর্ট তাঁকে ভুল মামলায় বিচারের মুখোমুখি করার জন্য ডেকেছিল। তিনি একজন "মহিলা" এবং ৩৭৬-ডি আইপিসি ধারার অধীনে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের হয়নি। তিনি আরও দাবি করেছিলেন যে, একজন মহিলা ধর্ষণ করতে পারে না এবং তাই তাঁর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের জন্য বিচার করা যায় না। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক মনে করেন যে একজন মহিলাও গণধর্ষণে দোষী হতে পারেন, যদি তিনি একদল ব্যক্তিকে ধর্ষণের কাজে সহায়তা করেন।


Follow us on :