১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Tripura: আগরতলায় উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর ডিজিদের বৈঠক, মাদক পাচার রোধে আলোচনা
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-11-23 12:56:27   Share:   

মঙ্গলবার থেকে আগরতলায় (Agartala) শুরু হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির পুলিস প্রধানদের ২৭ তম কনফারেন্স। ত্রিপুরা (Tripura) রাজ্যের রাজধানী আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে (Conference) প্রথম দিনের সূচনা পর্বে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডঃ মানিক সাহা (Manik Saha), ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্য সচিব জে কে সিনহা। বিভিন্ন রাজ্য থেকে আগত পুলিসের উচ্চ আধিকারিকরা মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্য সচিবকে স্বাগত জানান।

পরে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'প্রতিবেশী রাষ্ট্র মায়ানমার থেকে বিভিন্ন সময় নেশা সামগ্রী উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের প্রবেশ করছে। এরপর এগুলো বাংলাদেশের যাচ্ছে বেআইনিভাবে। আবার ত্রিপুরাতে অবৈধভাবে উৎপাদিত গাঁজা দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার হচ্ছে। কী করে নেশা সামগ্রী পাচার বন্ধ করা যায়, এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। তিন বছর পর এ ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং ত্রিপুরা রাজ্যে ৩০ বছর পর এই কনফারেন্স হচ্ছে।' 

কোভিড-সহ নানা কারণে মাঝে কিছু বছর এই বৈঠক হয়নি। বিভিন্ন রাজ্যের পুলিস প্রধানের পাশাপাশি অন্যান্য নিরাপত্তা এজেন্সির আধিকারিকরাও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এর ফলে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া আরও গতিশীল হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা আরও বলেন, 'আগে উত্তর-পূর্ব ভারতের উগ্রবাদীদের বাড়বাড়ন্ত থাকলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চেষ্টায় এখন দেশের এই অঞ্চলের শান্তি বিরাজ করছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া এক্ট-ইস্ট পলিসির কারণে উত্তর-পূর্বের প্রতিটি রাজ্য একই মালায় আবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। আগে রাজ্যগুলির নিজেদের মধ্যে সমস্যা হত, এখন এগুলি নেই বললেই চলে। উগ্রবাদও নেই বললেই চলে। বাংলাদেশের কিছু কিছু এলাকায় এখন উগ্রবাদী রয়েছে। এই দিকেও রাজ্যগুলির পাশাপাশি কেন্দ্রের নজরদারি চলছে। নিজেদের মধ্যে ফিলগুড এবং অষ্টলক্ষ্মীর কথা বলা হয়েছিল তা বাস্তবায়িত হয়েছে।'

উত্তরপূর্বের বিভিন্ন রাজ্য দিয়ে অনুপ্রবেশ এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ইস্যুতেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কথা বলেন তিনি। জানান রোহিঙ্গা মাঝে মাঝে রাজ্য অনুপ্রবেশ করে এবং পুলিস বিভিন্ন সময়ে তাঁদের আটক করছে। পাশাপাশি অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তিনি বলেন, রাজ্যের বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া হয়ে গিয়েছে। ছোট ছোট কিছু জায়গা বাকি রয়েছে নানা সমস্যার কারণে। এগুলোতেও যাতে দ্রুত বেড়া নির্মাণ করা যায় তার জন্য আলোচনা চলছে।


Follow us on :