অগ্নিপথের আগুন অব্যাহত। কেন্দ্রের ঘোষণার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় বিক্ষোভ সংঘটিত হচ্ছে। দফায় দফায় উত্তেজনা, হিংসা ছড়িয়েছে একাধিক রাজ্যে। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, তেলেঙ্গানায় বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে দ্রুত।
শুক্রবার সকালে উত্তপ্ত পরিস্থিতি পূর্ব-উত্তরপ্রদেশের বালিয়া স্টেশনে। একটি ট্রেনে আগুন জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামলাতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস এবং রেলরক্ষী বাহিনী। তত্পরতার সঙ্গে জ্বলন্ত কামরাগুলি সরিয়ে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় রেলরক্ষীবাহিনী।
হাজিপুরে স্টেশন ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা। লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিস।
বিহারের বেগুসরাই, লাখমিনিয়া স্টেশনেও উত্তেজনা ছড়ায়। রেল লাইনের উপর আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া বিহারের লখিসরাই, আরা, দুমরাসহ বিভিন্ন স্টেশনে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি।
তেলেঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনেও বিক্ষোভ চরম আকার নেয়। রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। পাশাপাশি ট্রেনে আগন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
সমস্তিপুর স্টেশনে জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে কামরা। প্রশ্নের মুখে যাত্রী নিরাপত্তা।
এছাড়া হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ সংঘটিত হয়। হরিয়ানায় ২৪ ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ বলে জানা গেছে।
প্রতিবাদ, আন্দোলন ক্রমশ হিংসাত্মক আকার ধারণ করছে। কোথাও ভাঙচুর চালানো হয় ট্রেনে, কোথাও টায়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ, কোথাও আবার পুলিসকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি, ট্রেন অবরোধ। পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে বিক্ষোভকারীদের হটানোর চেষ্টা করে পুলিস। কোথাও লাঠিচার্জও করা হয়। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত। যদিও দেশজুড়ে বিক্ষোভের জেরে চাপে পড়ে অগ্নিপথ প্রকল্পে বয়সসীমা বাড়িয়ে দিল কেন্দ্র।