অঞ্জন চৌধুরী পরিচালিত 'শত্রু' ছবির কথা মনে আছে? সেখানে একটি দৃশ্য ছিল, যেখানে এক সৎ পুলিস অফিসার শুভঙ্কর সান্যালের (পড়ুন রঞ্জিত মল্লিক) সামনে ছোট্টু (মাস্টার তাপু) নামে একটা শিশু বলেছিল,''এই পুলিশ দুটো ভাত দেবে গো। চারদিন থেকে কিছু খাইনি। কেউ ভাত দেয় না...'' পরের দৃশ্যতে দেখা যায় ওইে পুলিস অফিসার খেতে বসলে ওই শিশুর ক্ষুধার্ত মুখখানা মনে পড়ে যায়। তখন সেই খাবার নিয়ে গিয়ে শিশুটিকে খাইয়ে আসেন পুলিশ অফিসার।
চলচ্চিত্রের প্লটের সেই কাহিনিটা বাস্তবে ঘটল না। অভুক্ত অবস্থায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল একরত্তি। তার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন এক উর্দিধারী। খাঁকি পোশাক দেখে অভুক্ত শিশুটি ভেবেছিল, ওই মানুষটাই হয়তো তাকে সাহায্য করতে পারে। মুখে তুলে দিতে পারে কিছু খাবার। সেই কারণেই বারবার পুলিসকর্মীর কাছে খাবারের আবদার করছিল ওই শিশু। তবে সে হয়তো কল্পনাও করতে পারেনি তার এই আবদারই জীবনের কাল হতে চলেছে। বারবার খাবার চেয়ে বিরক্ত করায় ছেলেটাকে মেরেই ফেললেন সেই উর্দিধারী পুলিস।
মধ্যপ্রদেশের দাতিয়া জেলার ঘটনা। সেখানে রথযাত্রার ডিউটি করতে গিয়েছিলেন রবি শর্মা নামের ওই পুলিসকর্মী। অভিযোগ, সেখানেই এই নৃশংস কাণ্ড ঘটান তিনি। বছর ছয়েকের এক শিশুর গলা টিপে খুন করে ফেলেন রবি শর্মা। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস।
জানা গিয়েছে, ডিউটি চলাকালীন ওই পুলিসকর্মীর কাছে চাইছিল ওই শিশুটি। তা শুনেই বকাঝকা করে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তবে শিশুটিও নাছোড়বান্দা। ফের কিছু সাহায্যের আশায় ফিরে আসে। এতেই মাথায় খুন চেপে যায় রবি শর্মার। বাচ্চাটির গলা টিপে ধরেন তিনি। মেরেই ফেলেন একরত্তিকে।
খুনের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। পুলিশের জেরার মুখে অভিযুক্ত পুলিসকর্মী জানিয়েছেন, মানসিক অবসাদে ভুগছেন তিনি। বাচ্চাটি বারবার বিরক্ত করায় মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। আসলে এমনটা তিনি করতে চাননি।