প্রসূন গুপ্ত: সদ্য মহাজোটের সরকার গঠন হয়েছে বিহারে। আরজেডির নেতৃত্বে নীতিশ কুমারের মুখ্যমন্ত্রিত্বে সরকার গঠন বাংলার পড়শি রাজ্যে। নীতিশ এবার তাঁর সরকারকে সমর্থন করছে, এমন সব দলের বিধায়কদের মন্ত্রিসভায় রাখতে চেয়েছিলেন। বামেদের ১৬ বিধায়ক অবশ্য বাইরে থেকে মহাজোটের সরকারকে সমর্থন করছে।
তবে বামেরা চাইছে শাসক জোটের সব দলের বিধায়করা সতর্ক হোক। সে প্রসঙ্গে লালুর দল অর্থাৎ আরজেডিকে সতর্ক করেছে তারা। বামেরা বলেছে, যে ভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি বিরোধী সরকারের উপর কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে চাপ তৈরি করা হচ্ছে, তাতে বিহারের উপরেও চাপ আসবে। বামেদের এই পরামর্শে সহমত হয়েছেন তেজস্বী যাদব। কারণ নীতীশের বর্তমান মন্ত্রিসভায় অন্তত দু'জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দু'জন আবার আরজেডি বিধায়ক। বর্তমান বিহার মন্ত্রিসভায় আরজেডি ছাড়াও রয়েছে নীতীশের জনতা দল (ইউনাইটেড), নির্দল এবং জিতনরাম মাঝির হাম দল। এর মধ্যে জিতনরামের দলের সঙ্গে সারা ভারতে বিজেপির সম্পর্ক খুবই খারাপ। ফলে এদেরও সতর্ক করেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব।
তেজস্বী কড়া বার্তা দিয়েছে দলের বিধায়কদের এবং দলের কর্মী নেতাদেরও। মূলত স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রাখার জন্য। তেজস্বী বুদ্ধিমান ছেলে, তিনি জানেন দুর্নীতিতে জড়িয়ে তাঁর বাবা লালুর দুর্দশার কথা। বর্তমানে দিল্লির এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তেজস্বীর আশংকা ফের নতুন করে তাঁর দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে, চব্বিশের ভোটের আগে বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে। অন্যদিকে এই মুহূর্তে বিজেপির ব্যাডবুকে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। ফলে সতর্ক থাকতে হচ্ছে তাঁর দলকেও। তেজস্বী তাঁর দলের বিধায়কদের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, রাজ্যের কোনও নাগরিকের প্রণাম নেওয়া চলবে না। হাত জোর করে বা সেলাম করে প্রণাম বা আদাব জানাতে হবে।
কোনও কাজ ফেলে রাখা যাবে না মন্ত্রীদের। সর্বোপরি এই মুহূর্তে ফাইল থেকে অন্য কাগজ দেখেশুনে সই করতে হবে। অর্থাৎ বার্তা অনেকটাই পশ্চিমবঙ্গের মতো। সতর্কবার্তার মধ্যে সবথেকে তাৎপর্য ভাবে তেজস্বী জানিয়েছেন, কেউ নতুন গাড়ি কিনতে পারবেন না বা নিতে পারবেন না উপঢৌকন নিতে পারবেন না।