অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় বিক্ষোভের পর এবার ভারত বনধের ডাক দিল একাধিক রাজনৈতিক সংগঠন।। যে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিভিন্ন রাজ্য ৷ তবে এ রাজ্যেও সতর্ক প্রশাসন।
বিক্ষোভের আঁচ সবথেকে বেশি ছড়িয়েছে বিহারে। বিহারের ২০টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। রোহতক, বক্সার, নওদা, পশ্চিম চম্পারন, পূর্ব চম্পারন, সমস্তিপুর,লক্ষ্মী সরাই, মুজফফরপুরসহ আরও বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
শুধুমাত্র বিহারের উপর দিয়ে যাতায়াতকারী ৩৫০টি ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে৷
ভারত বনধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ভাগলপুর জেলা প্রশাসন বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে জেলার প্রায় সমস্ত পাবলিক প্লেস এবং চৌক মোড়ে ম্যাজিস্ট্রেটদের পাশাপাশি পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত কুমার সেনসহ অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা মেদনীনগর চক, সুভাষ চক, নাথনগরের রেলস্টেশন সহ অন্যান্য এলাকায় টহল দিচ্ছেন। রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি ।
মোকামায় ফ্ল্যাগমার্চ করেছে পুলিস। বনধ মোকাবিলায় মোকামা শহর ও রেলস্টেশনেই রয়েছে পুলিস ক্যাম্প। এদিন সকাল থেকেই মোকামা বিডিও মনোজ কুমার, রেলওয়ে পুলিসের ইনচার্জ সুশীল কুমার এবং আরপিএফ ইন্সপেক্টর দীপক কুমার যৌথভাবে ফ্ল্যাগমার্চ পরিচালনা করছেন। তবে মোকামা, হাথিদহ স্টেশনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় সুনসান এলাকা।
পাশাপাশি মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পাতিয়ালা রেলস্টেশনে চেকিং অভিযান চলছে। পাতিয়ালা পুলিস, জিআরপি, আরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে।
কেরালা সরকারও জানিয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তিকে রক্ষা করতে গোটা পুলিসবাহিনীকে নামানো হয়েছে৷ ঝাড়খণ্ডেও অগ্নিপথের প্রতিবাদে বনধের কথা মাথায় রেখে সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার ৷ অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডে নবম এবং একাদশ শ্রেণির যে পরীক্ষা চলছিল, তাও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে৷
দিল্লির কাছে ফরিদাবাদেও রাস্তা অবরোধের চেষ্টা ৷ তা আটকাতে প্রায় ২০০০ পুলিসকর্মী আজ রাস্তায় মোতায়েন ৷ দিল্লি এবং এলাহাবাদগামী ট্রেনগুলি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাতিল করা হয়েছে। বেশ কিছু ট্রেন ছাড়বে দুপুর কিংবা সন্ধ্যের দিকে।পাশাপাশি দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় প্রবল যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। নয়ডা-দিল্লি লিঙ্ক রোড, দিল্লি-গুরগাঁও এক্সপ্রেসওয়ে জুড়ে দাঁড়িয়ে গাড়ি।