একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল তামিলনাড়ুর কাল্লাকুরিছি জেলার একটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলচত্বর। উত্তেজিত জনতা স্কুলবাস এবং পুলিসের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিস বিক্ষোভকারীদের বাগে আনতে হিমশিম খায়। পরে বাইরে থেকে আরও বাহিনী এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। সব মিলিয়ে এলাকাজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ওই ছাত্রীর আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে। ওই ছাত্রী সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছে, শিক্ষকের নির্যাতনের মুখে পড়েই সে চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। এর প্রতিবাদে প্রথমদিকে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণই ছিল। কিন্তু পরে ধীরে ধীরে ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। স্কুলচত্বরে জমা হতে থাকেন বেশি সংখ্যায় মানুষ। অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে তাঁরা সোচ্চার হন। এরপর রবিবার সকালে দেখতে দেখতে হাজারখানেক মানুষ জমা হয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
এদিকে এই ঘটনায় পুলিসি নিস্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে প্রশাসন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুলিস উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়নি। সমস্যা মেটানোর তারা কোনও চেষ্টাই করেনি।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, পুলিসি তদন্ত শেষে যেই দোষী প্রমাণিত হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিসের ডিজি এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে বলা হয়েছে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে। সরকারের উপর আস্থা রেখে জনগণকে শান্ত থাকার আর্জি জানান তিনি।
অন্যদিকে, ওই ছাত্রীর বাবা সিবি-সিআইডি তদন্ত এবং মৃতদেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। এলাকাজুড়েও জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।