হিন্দু মহাতীর্থের অন্যতম চারধাম (Char Dham)। ভক্তদের বিশ্বাস, এখানে তীর্থযাত্রা (Yatra) করলে দ্রুত মোক্ষলাভ সম্ভব। চারধামের অন্যতম উত্তরকাশীর (Uttarkashi) গঙ্গোত্রী (Gangotri) এবং যমুনেত্রী (Yamunotri)। বাকি দুই তীর্থ হল রুদ্রপ্রয়াগের কেদারনাথ (Kedarnath) ও চামোলি (Chamoli) জেলার বদ্রীনাথ (Badrinath) মন্দির। এই চারধাম যাত্রাকে ঘিরে প্রতি বছর উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) ব্যাপক সংখ্যায় ভিড় করেন তীর্থযাত্রীরা। ধর্মীয় পর্যটনে দেশের অন্য রাজ্যগুলির চেয়ে এগিয়ে উত্তরাখণ্ড।
প্রতিবারের মতো এবারও তাই চারধাম যাত্রার জন্য ব্যাপক সংখ্যায় ভিড় করতে শুরু করেছিলেন তীর্থযাত্রীরা। কিন্তু, শুরু থেকেই ঘটছে ছন্দপতন। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৭৪ জন তীর্থযাত্রী চারধাম যাত্রা করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কেদারনাথ যেতে গিয়ে মারা গিয়েছেন ৩৭ জন। যমুনেত্রীতে ২০ জন, বদ্রীনাথে ১৩ জন এবং গঙ্গোত্রীতে ৪ জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু (Death) হয়েছে। বেশিরভাগই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের (cardiac arrest) কারণে মৃত্যু ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
এবছর চারধাম যাত্রা শুরু হয়েছে ৩ মার্চ। উত্তরাখণ্ড সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, বুধবার পর্যন্ত ৩.৩৫ লক্ষেরও বেশি ভক্ত কেদারনাথ, ৩.১৫ লক্ষ বদ্রীনাথ, ১.৪৯ লক্ষ যমুনেত্রী এবং ২ লক্ষেরও বেশি গঙ্গোত্রী পরিদর্শন করেছেন। উত্তরাখণ্ডের চিকিৎসা, স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ বিভাগের অধিকর্তা ডা. শৈলজা ভাট (Dr Shailja Bhatt) জানিয়েছেন, এবছর চারধামের পুণ্যার্থীর সংখ্যা অন্যবারের চেয়ে অনেকটাই বেশি। এর একটা কারণ হল কোভিড। যার জন্য ২০২০ ও ২০২১ সালে চারধাম যাত্রা বন্ধ ছিল। সেটাই যেন এবার সুদে-আসলে উসুল করে নিতে চাইছেন পুণ্যার্থীরা। আর, মৃত্যুও বাড়ছে লাফিয়ে।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ সালে চারধাম যাত্রা করতে গিয়ে ১১২ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছিল। ২০১৮ সালে সংখ্যাটা ছিল ১০২। ২০১৯ সালে ৩৮ লক্ষ পুণ্যার্থী চারধাম যাত্রা করেছিলেন। যার মধ্যে ৯০ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছিল যাত্রাপথে। তারপর এবার হচ্ছে চারধাম যাত্রা। আর, এবার শুরুতেই মৃত্যুর সংখ্যাটা ৭৪-এ পৌঁছে গিয়েছে।