মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাভিশ্বাস মধ্যবিত্তের। পেট্রোপণ্য থেকে শুরু করে ভোজ্যতেল, সবজি, মাছ, মাংস, সবকিছুর দামই আকাশছোঁয়া। ফলে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। এরপর করোনা পরিস্থিতিতে সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতি ঠেকেছে তলানিতে। এরই মধ্যে ডলারের তুলনায় টাকার দামে সর্বকালীন পতন। ৭৮–এ নেমে এল ভারতীয় মুদ্রা, উদ্বিগ্ন অর্থনীতিবিদ থেকে বিশেষজ্ঞরা।
টাকার এই সর্বকালের পতনের পিছনে বিশেষজ্ঞরা একাধিক কারণকে দায়ী করেছেন। গত কয়েকমাস ধরে ক্রমাগত এফআইআই বিক্রি, তেলের দাম বৃদ্ধি এবং আগামী ত্রৈমাসিকের জন্য মুদ্রাস্ফীতির চাপকে মূলত দায়ী করছেন তাঁরা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আমেরিকায় মূল্যবৃদ্ধির ফলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্বে। গত মার্চ মাস থেকেই তাই ডলারের নিরিখে ভারতীয় মুদ্রা তলানির দিকে এগিয়েছে।
সোমবার বাজার খোলার সময় প্রতি ডলারের ভারতীয় মুদ্রার দাম ছিল ৭৮.১৪ টাকা। শুক্রবার ডলারের নিরিখে ভারতীয় মুদ্রার দাম ছিল ৭৭.৯৩ টাকা। আর এদিন ০.৩৮ শতাংশ বেড়ে তলানিতে ঠেকল ভারতীয় মুদ্রার দাম।
এদিকে দেশে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত বুধবারই আরবিআই রেপো রেট বাড়িয়েছে ৫০ বেসিস পয়েন্ট। এবার টাকার দাম পড়ে যাওয়ায় চিন্তিত বিদেশে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীরা। এর ফলে উদ্বিগ্ন লগ্নিকারীরাও। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের শেয়ার বাজারেও ধস নামে।
ফলে কবে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, সেদিকেই এখন তাকিয়ে দেশবাসী।