বিশ্ববাজারে টাকার দামে রেকর্ড পতন। মঙ্গলবার বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে টাকার দামে পতন হয়। সোমবার বাজার বন্ধের সময় ডলার প্রতি টাকার দাম ছিল ৭৭ টাকা ৩৪ পয়সা। মঙ্গলবার বাজার খোলার পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৮ টাকা ৭৮ পয়সা। কিন্তু টাকার মূল্যের পতনের কারণ কী?
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি টাকার মূল্যের পতনের অন্যতম কারণ বলে অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। টাকার মূল্যের রেকর্ড পতনে ভারতের শেয়ার বাজারেও সূচক নেমে যায়। এর ফলে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা। ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতির কারণে বিশ্বব্যাপী ব্যাঙ্কগুলি সুদের হার বাড়াতে শুরু করেছে। তার নেতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়ছে। আর এর জেরেই ক্রমাগত মার্কিন ডলারের মূল্য বাড়ছে।
অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ দিলীপ পারমার বলেন, আরবিআইয়ের ফরোয়ার্ড ও ফিউচার মার্কেটে হস্তক্ষেপ করেছে। গত কয়েক মাস ধরে টাকার দামের পতন দেখা গিয়েছিল। মঙ্গলবার রেকর্ড পতন হয়। মার্কিন ডলার প্রতি টাকার মূল্যে ২২ পয়সার পতন হয় বলে তিনি জানান। চলতি সপ্তাহে টাকার দাম আরও কমতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছেন।
শুধু ভারত নয়, এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের মুদ্রার মূল্যের পতন হবে। যার জেরে এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা দেখা দেবে।
অন্যদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, তাঁরা দেশের ক্ষমতার প্রায় কাছাকাছি তেল উত্তোলন করেছেন। গত সপ্তাহ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার নতুন করে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১.০৮ ডলার বৃ্দ্ধি পেয়েছে। ভারতীয় মুদ্রার মূল্যের নেপথ্যে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা অনেকাংশে দায়ী। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পর রাশিয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পশ্চিমি দেশগুলি। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য।