তিন সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেশজুড়ে অগ্নিপথ নিয়ে বিক্ষোভের জেরেই জরুরি বৈঠক। কীভাবে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়, তা নিয়েই পর্যালোচনা বৈঠক বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।
সেনাবাহিনীতে সেনা নিয়োগ প্রকল্প 'অগ্নিপথ' প্রত্যাহারের দাবিতে আরও ব্যাপক আন্দোলনের আশঙ্কা করছে কেন্দ্র! তাই আগেভাবেই সারা দেশজুড়ে নিরাপত্তার বেষ্টনী আরও কড়া করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রেল স্টেশন, জাতীয় সড়ক এবং সরকারি অফিসগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মন্ত্রকের তরফে। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাইয়ের পুলিশ কমিশনারদের পাঠানো হয়েছে চিঠি।
শুধু তাই নয়, ভারতের প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যসচিবকেও চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভারত বনধের ডাকের পাশাপাশি দিল্লির যন্তর মন্তরে আগামী ২০ শে জুন বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। তার পরিপ্রেক্ষিতে এই চার রাজ্যের পুলিশের কমিশনারদের বিশেষভাবে সতর্ক করেছে কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, বিহারের ৩৮ টি জেলার মধ্যে ১৮ টি জেলাতেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ট্যুইটারের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং মাধ্যমগুলি। লক্ষ্য একটাই, গুজব বা উত্তেজনা ছড়ানোয় লাগাম পরানো। প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মূলত যে সব জায়গায় ট্রেন এবং বাস জ্বালানোর মতো ঘটনা ঘটেছে, সেইসব জায়গাতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।