অগ্নিপথের বিরোধিতায় বিক্ষোভ, হিংসা দেখেছেন দেশবাসী। দেশের একাধিক রাজ্যে সংঘটিত হয়েছে আন্দোলন। পুড়েছে ট্রেন, একাধিক স্টেশনে ভাঙচুর, রেলপথ অবরোধে জেরবার হয়েছে বহু মানুষ। তা সত্ত্বেও রোলব্যাক করা হবে না বলেই জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ইতিমধ্যেই কোচিং সেন্টার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গ্রেফতারও করা হয়েছে এক মূলচক্রীকে। এবার আলিগড়ে একের পর এক কোচিং সেন্টারে শুরু পুলিসি নজরদারি।
বিক্ষোভে প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে একটি কোচিং সেন্টারের মালিক সুধীর শর্মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আলিগড় জেলায় ইতিমধ্যেই ৭৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে কমপক্ষে ১১ জন কোচিং সেন্টার চালান। ধৃতদের মধ্যে অধিকাংশই টপ্পল এলাকায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালান। ৬৮ জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিস।
প্রশিক্ষণ নেওয়া এক যুবক জানান, টপ্পল ও জত্তারির মধ্যে ১১টি কোচিং সেন্টার রয়েছে। বর্তমানে সেগুলি বন্ধ। স্থানীয় যুবকরা জানান, সেনায় চাকরির আশায় তারা ১৮ বছর বয়স থেকে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। অনেকেই ২০২০ সালে শারীরিক পরীক্ষায় পাশ করে তারপর থেকে প্রত্যেকবার সেনার পরীক্ষার দিন ঘোষণার সময় কোচিং সেন্টারে ভর্তি হতেন। তারা আরও জানান, দুই মাসের প্রশিক্ষণের জন্য প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকা নেওয়া হত। বিক্ষোভের জেরে এখন তো বন্ধই হয়ে গেল।
পুলিস সুপার (গ্রামীণ) পলাশ বনশল বলেছেন, এলাকায় নথিভুক্ত নয়, এলাকায় এমন কোনও কোচিং সেন্টার রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে বিশেষ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলির দিকে নজর রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সেকেন্দ্রাবাদে বিক্ষোভে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে এক অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদারকে গ্রেফতার করে অন্ধ্র পুলিস। আবুলা সুব্বা রাও নামের ওই ব্যক্তি বেশ কিছু কোচিং সেন্টার চালান বলে অভিযোগ। অবসরপ্রাপ্ত ওই হাবিলদার অশান্তি পাকানোর মূলচক্রী বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। অন্যদিকে নিজেদের অবস্থানে অনড় কেন্দ্র তথা সামরিক প্রধানরা।