সোমবার থেকেই একগুচ্ছ পণ্যে লাগু হয়েছে জিএসটি। ফলে ওইসব পণ্যের দাম যে বাড়বে, এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। বিশেষত, এমন বহু পণ্যকে এবার এই করের আওতায় আনা হয়েছে, যা মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়কে আঘাত করবে।
এই ইস্যুতে মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানাল বিরোধী শিবির। তারা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশও করেছে।
আপ পার্টির প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, একদিকে বিভিন্ন পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলেছে। অন্যদিকে, কেন্দ্র নিত্যপণ্যের ওপরও জিএসটি চাপাচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য তিনি দাবি জানিয়েছেন। তাঁর আরও দাবি, দিল্লি সরকারই একমাত্র নানা প্রকল্পের মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
রাহুল গান্ধি তাঁর প্রতিবাদ জানিয়েছেন ট্যুইটারে। তিনি বলেছেন, একদিকে উচ্চ কর। অন্যদিকে, কোনও চাকরি নেই। যে অর্থনীতি একদিন দেশের মধ্যে ছিল সেরা এবং দ্রুতগতিতে তা এগিয়ে যাচ্ছিল, তা কীভাবে ধ্বংস করা যায়, তা নিয়েই বিজেপির যাবতীয় পরিকল্পনা।
রাহুল গান্ধি তাঁর ট্যুইটে লিখেছেন, গব্বর সিং স্ট্রাইকস এগেন। একইসঙ্গে কোন কোন জিনিসে নতুন করে জিএসটি বসল, তার তালিকাও তিনি দিয়ে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মাছ, দই, পনির, লস্যি, মধু, শুকনো মাখন, শুকনো সয়াবিন, মটর, গম, চাল ও অন্যান্য খাদ্যশস্য ও মুড়ি-র মতো পণ্যের ওপর এখন ৫ শতাংশ জিএসটি লাগবে। তালিকায় রয়েছে পাফ করা চাল (মুড়ি), চ্যাপ্টা বা ফেটানো চাল, (চিড়া), শুকনো চাল (খই), মুড়কি, রাই, বার্লি, ওটস, চাল, গম এবং মেসলিন ময়দা। এছাড়াও, প্রতিদিন ৫০০০ টাকার বেশি (আইসিইউ বাদে) হাসপাতালের রুম ভাড়ার উপর ৫ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হবে।