সরকারি হিসেব বলছে, বিয়ের বয়স হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। সেইমতো অনেকদিন ধরেই পাত্রীর খোঁজ চলছিল। পাত্রীর খোঁজও পাওয়া গেল। এবার চারহাত এক হবে। সব কিছু ঠিকঠাক। বিয়ে সামনেই। কিন্তু পাত্রের বাবা-মা এখনই বিয়ে দিতে নারাজ। তাই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চেয়ে তাঁকে চিঠি লিখলেন উত্তরপ্রদেশের যুবক আজিম মঞ্জুরি। শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নয়, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব এবং মায়াবতীকেও চিঠি লিখলেন একই আর্জি জানিয়ে। চিঠি পাঠিয়েছেন সলমন খানকেও।
চিঠিতে তাঁর বয়ান, ''বিয়ে করতে চাই। পাত্রীও ঠিক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাবা-মা এখনই বিয়ে দিতে চাইছে না। তাঁরা চাইছেন, আমার আর বাকি দুই ভাইয়ের বিয়ে একসঙ্গে দেবে। আপনারা আমার বিয়ের ব্যবস্থা করুন। রাতে আমার ঘুম আসছে না।''
চিঠির প্রেরক আজিম মঞ্জুরির উচ্চতা ২.৬ ফুট। বাড়ি উত্তরপ্রদেশের শামলিতে। তাঁর দাবি, ২০২১ সালের ৯ মার্চ হাপুরের এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর বাবা-মা কথা বলেছিলেন। পাত্রীর উচ্চতা তাঁর মতোই। পাত্রীকে তাঁরও যেমন পছন্দ হয়েছিল, পছন্দ হয়েছিল তাঁর বাবা-মায়েরও। কিন্তু বাকি দুই ভাইয়ের জন্য পাত্রী খুঁজে না পাওয়ায় তাঁর বিয়ে আটকে গিয়েছে। রাতে তাঁর ঘুম আসছে না। আর যদিও বা ঘুম আসে, তাহলে রাতে তিনি ওই পাত্রীকে স্বপ্নে দেখছেন।
২০২১ সালেও তাঁর বিয়ে নিয়ে উত্তরপ্রদেশে হইচই কাণ্ড জুড়েছিল। ফের এ বছরও আজিম মঞ্জুরি তাঁর বিয়ে নিয়ে উঠেপড়ে লেগেছেন। এমনকী সেই চিঠি নিয়ে নিকটবর্তী থানায় পৌঁছে যান তিনি। দেখা করেন স্টেশন হাউস অফিসারের সঙ্গে। জানান তাঁর ইচ্ছার কথা। এই ঘটনার কথা চাউর হতেই মজার ঢেউ উঠেছে উত্তরপ্রদেশজুড়ে।