Share this link via
Or copy link
পথকুকরদের (stray dog) আক্রমণে (Attacked) আতঙ্কিত নাগপুরবাসী। ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court) বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে যে, "কোনও নাগরিকের প্রকাশ্য স্থানে অথবা বাগান ইত্যাদি জায়গায় পথ কুকুরদের খাওয়ানো বা খাওয়ানোর চেষ্টা করা উচিত নয়।"
বিচারপতি এস বি শুক্রে এবং এএল পানসারের বেঞ্চ নাগপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (এনএমসি) মিউনিসিপ্যাল কমিশনারকে আরও নির্দেশ দিয়েছে যে, এই ধরনের পথকুকুরদের নিজের বাড়ি ছাড়া অন্য কোনও জায়গায় খাবার দেওয়া যাবে না।
২০ অক্টোবর বেঞ্চ আরও বলেছে, যদি কোনও ব্যক্তি পথকুকুরদের খাওয়াতে আগ্রহী হন, সেক্ষেত্রে ওই পথকুকুরদের দত্তক নিতে হবে। তার আগে পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আইনি পথে কাগজপত্র সই করতে হবে। এরপর নিজের বাড়ি নিয়ে গিয়ে হোক বা কোনও কুকুরের আশ্রয়কেন্দ্রে তাকে রেখে যত্ন নিতে পারেন বা খাওয়াতে পারেন।
আদালত নাগপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনারকেও নির্দেশ দিয়েছে যে, কুকুর খাওয়ানোর নিজস্ব জায়গা বা কুকুরের আশ্রয়কেন্দ্র বা অন্য কোনও অনুমোদিত জায়গা ছাড়া কোনও জায়গায় রাস্তার কুকুরদের খাওয়ানো যাবে না। সে বিষয়ে যেন নজর রাখে কর্পোরেশন। এমনকি কমিশনার এই নির্দেশাবলী লঙ্ঘনের জন্য উপযুক্ত জরিমানাও ধার্য করা হবে। আর সেই জরিমানা ২০০টাকারও বেশি হতে পারে।
বেঞ্চ আরও বলেছে যে, "এখন ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে।" যদিও, আদালত বলেছে যে, এই পদক্ষেপ একেবারে কুকুরের আক্রমণ থেকে বাঁচানো যাবে তা নয়, তবে বিপদ থেকে কিছুটা রেহাই মিলতে পারে। আক্রমণকারী কুকুরকে নির্দেশিত পদ্ধতি অনুসারে ট্রেনিং দিতে হবে। তাদের একটি মনিটরিং কমিটির কাছে হস্তান্তর করতে হবে। এভাবে, পুলিস কমিশনার এবং পুলিস সুপার, নাগপুর (গ্রামীণ) কেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, "বিপথগামী কুকুর থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য তাদের নিজ নিজ এলাকায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে।"
পথ কুকুরের জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে ১৭ কোটি টাকার তহবিল বরাদ্দ করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। আদালত বরাদ্দ মঞ্জুর করে অবিলম্বে এ অর্থ ছাড়ের নির্দেশ দিয়েছে। জন্মনিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে কুকুরদের অন্ডকোষ বা ডিম্বাশয় অপসারণের কথা বলেছে। ও বলা হয়েছে, অস্ত্রোপচারের পর ওই কুকুরদের যাবতীয় যত্ন নিতে হবে।