২০ এপ্রিল, ২০২৪

Mulayam: না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রবীণ সমাজবাদী মুলায়ম সিং যাদব
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-10-10 11:22:36   Share:   

প্রসূন গুপ্ত:  নাহ এবারে আর তাঁকে ফিরিয়ে আনা গেল না হাসপাতাল থেকে। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চলছিল মুলায়মের তাঁর আরাধ্য নেতা বাপুর জন্মদিবস থেকে। হাসপাতালে শ্বাসকষ্টের জন্য ভর্তি হয়েছিলেন ২ অক্টোবর। এর আগেও অসুস্থতার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন তাঁর প্রিয় গুরুগ্রামের বেদান্ত হাসপাতালে। সেবারও শরীর খারাপ ছিল কিন্তু চিরকালের চনমনে মুলায়েম অসুস্থতাকে কোনও দিনও পাত্তা দেননি। এবারে ভর্তি হওয়ার পর ক্রমশই অক্সিজেন কমে যেতে শুরু করে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আইসিইউতে। কয়েকদিন বিশেষ করে দশেরার দিন কিছুটা সুস্থ হলেও রবিবার থেকে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। আজ, সোমবার সকালেই সেখানে প্রয়াত হন। 

সমাজবাদী পার্টির সভাপতি তথা তাঁর পুত্র অখিলেশ যাদব মিডিয়াকে জানান যে তাঁর পিতা 'নেতাজি' প্রয়াত। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেস ও বিজেপি বিরোধী এক রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব চলমান পথ থেমে গেল। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সোনিয়া গান্ধী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সব বড় বড় নেতা।

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২।  মুলায়েম পুরোদস্তুর রাজনীতিতে আসেন রামমনোহর লোহিয়া এবং জায়প্রকাশের আদর্শে। জরুরি অবস্থার সময়ে তাঁর আন্দোলন ছিল জয়প্রকাশ নারায়ণের সঙ্গেই। গ্রেফতারও হয়েছিলেন। পরে কংগ্রেস বিরোধী জনতা পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৮০-তে জনতা পার্টি ভেঙে যায় ফের ১৯৮৮-তে বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংয়ের নেতৃত্বে তৈরি হওয়া জনতা দলে যোগ দেন। ১৯৯২-তে বাবরি মসজিদ ভেঙে যাওয়ার আগেই তিনি নিজেই সমাজবাদী পার্টি তৈরি করেন। ১৯৯৬-এ প্রথম লোকসভায় নির্বাচিত হয় দেবেগৌড়ার মন্ত্রিসভায় প্রতিরক্ষা দফতরের দায়িত্ব পান। এছাড়াও তিনি তিনবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ , ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৫ এবং ২০০৩ থেকে ২০০৭। রঙিন চরিত্রের মানুষ ছিলেন মুলায়ম। রাজনীতির রং বদলের খেলায় কখন যে কী করবেন কেউ বুঝতে পারেনি। তবে শেষ জীবনটি মোটেই ভালো কাটেনি। পুত্র একপ্রকার তাঁকে বাণপ্রস্থে পাঠিয়ে সমাজবাদী পার্টির দখল নিয়েছিলেন। তবুও ভারতীয় রাজনীতিতে মুলায়েম সিং এক চির আলোচিত নাম হয়ে থাকবে।


Follow us on :