সামনেই ৫ রাজ্যের নির্বাচন। প্রতিটি রাজ্যের ভোটই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে প্রেস্টিজের। এবং এটাও বাস্তব তিনি ছাড়া দলে এমন কোনও মুখ নেই যে বা যারা এই ৬ বছরের শাসনের পর সৃষ্টি হওয়া বিতর্ককে পিছনে ফেলে বিজেপিকে ৫ রাজ্য থেকে জিতিয়ে আনতে পারে। জবাবদিহির স্থান থেকে নোট বাতিল ,করোনা থেকে কৃষি আন্দোলন ইত্যাদিকে হাতিয়ার করছে বিরোধীরা। পাঞ্জাব রাজ্যকে ইতিমধ্যে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়ে বাকি রাজ্যগুলিকে টার্গেট করছে বিজেপি কিন্তু বক্তা রাখতে হবে ওই মোদীজিকেই।
এরই মধ্যে পুলওয়ামার কীর্তিকে ফের সামনে আঁচে বিজেপি। বলতে চাইছে তাদের আমলের জওয়ানদের আত্মত্যাগের বীরগাথা। এই করতে গিয়ে দিল্লির দীর্ঘদিনের বীরগাথার স্থান ইন্ডিয়া গেটের অমর জওয়ান জ্যোতির আগুন নিভিয়ে পর্যন্ত ফেলা হয়েছে। ওই স্মৃতিসৌধ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আধা কিলোমিটার দূরে যা কিন্তু অস্ত্র করছে কংগ্রেস শিবসেনা সমাজবাদীরা।
জেপি নাড্ডা, অমিত শাহ ইত্যাদিদের প্রচারে পেলে লাভ কি হতো তা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন রয়েছে, যে কারণে স্মৃতি ইরানি ইত্যাদিদের প্রচারে নামানো হচ্ছে। বিজেপি ছাড়াও সংঘ পরিবার চায় না যে আরেকটি পশ্চিমবঙ্গের মডেল তৈরি হোক কোথাও। অন্যদিকে গোয়া থেকে দলের অন্দরে প্রাপ্ত খবর যা তাতে সেখানকার ভোটাররা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে রয়েছে। বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যেই মূল লড়াই হবে সে যত প্রার্থী ভোট দাঁড়াক না কেন , ফলে ভোট কাটুয়ার সহযোগিতা বিজেপি পাচ্ছে না। একই হাল উত্তরাখণ্ডে , সেখানেও মুখোমুখি লড়াই। ইতিমধ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে খোদ মোদী অনেকটা ত্রুটি করে ফেলেছেন যা বিরোধীরা ট্রল করছে। ওপিনিয়ন পোল যাই বলুক না কেন এটা বাস্তব এবারের নির্বাচনে নতুন কোনও তাস কোনও দলেই নেই সুতরাং বিরোধীরা মোদী জমানার ত্রুটি তুলে তাদের সরকারকে ফেলে দেওয়ার কথা যেমন বলছে তেমন বিজেপির আঞ্চলিক নেতারা চাইছেন স্বয়ং মোদী আসুন কারণ যদি জিততে হয় তাঁকেই দরকার। ফলে হারাজেতার টেনশন এখন মোদী সরকারগুলির মধ্যে।