আমি চঞ্চল হে, আমি সুদূরের পিয়াসী। আসলে বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। একটু ছুটি পেলেই ব্যাগ অ্যান্ড ব্যাগেজ নিয়ে মন দে-ছুট। সে পাহাড়, সমুদ্র, জঙ্গল যেখানেই হোক না কেন। আর বেড়ানোর তালিকায় ওড়িশা তো একধাপ এগিয়ে। রয়েছে পাহাড়, সমুদ্র দুইই। দিন পাঁচেকের ছুটিতে ডেস্টিনেশন হতেই পারে ওড়িশা।
এবার ওড়িশাকে আরও চমকদার করে তুলতে পদক্ষেপ করেছে ওড়িশা সরকার। চিলকা হ্রদে থাকছে হাউসবোট পরিষেবা৷ এখানে এবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকছে হাউসবোট, ভাসমান রেস্তোরাঁ থেকে ক্যাটামেরন। চিল্কা হ্রদে বিলাসবহুল হাউসবোটটির নাম ‘গরুড়’৷
প্রসঙ্গত, গত ১৪ মে মুম্বইয়ে হয় ক্রুজ কনফারেন্স৷ সেই সম্মেলনেই ওড়িশার তরফে জানানো হয় নদী পর্যটনে আকর্ষণ বাড়ানোর কথা৷ ওড়িশার বারকুল অঞ্চলে তৈরি হচ্ছে এই বিলাসবহুল তরীটি৷ সম্মেলনে আরও জাননো হয়েছে, পর্যটকদের ইচ্ছা থাকলে দ্রষ্টব্যস্থানের তালিকা বাড়ানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যান এবং গহিরমাথা অভয়ারণ্যের এলাকাও সংযোজিত হতে পারে৷ এই ভ্রমণে আপনি পাবেন রাজকীয় আমেজ, এমনই আয়োজন থাকছে বলে জানানো হয়েছে ওড়িশা সরকারের পক্ষ থেকে।
শুধু ঘুরে বেড়ালেই তো চলবে না। বেড়ানো হবে আর খাওয়াদাওয়া থাকবে না, তা আবার হয় নাকি। দেদার খাওয়াদাওয়া হলে তো আড্ডা জমে। আর বাঙালি তো ভ্রমণবিলাসী বটেই, সঙ্গে ভোজনবিলাসীও। তাই বিলাসতরীতে ভ্রমণের সঙ্গেই থাকবে নানারকম খাবারের আয়োজন। জানা গেছে, এই দোতলা হাউসবোটে থাকবে দু’টি স্যুইট, চারটি প্রিমিয়াম ঘর, বার, রেস্তোরাঁ এবং ওপেন লবি৷ ওড়িশার পর্যটন দফতর প্রাথমিক পর্যায়ে দু’টি হাউসবোট নামাবে, যার প্রত্যেকটিতে ৪০ জন পর্যটক সফর করতে পারবেন৷
তাহলে আর দেরি কেন, গুছিয়ে ফেলুন ব্যাগপত্তর, আর ঘুরে আসুন চিল্কা।