Share this link via
Or copy link
বাংলা আজ যা ভাবে, গোটা দেশ আগামিতে ভাবে। এই প্রবাদকে সত্যি করেই বাংলার পথেই এবার হাঁটতে চলেছে কেরল। চলতি বছর নবান্ন রাজ্যপালকে সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে সরিয়েছে। তার আগে রীতিমতো বিধানসভায় বিল পাশ করিয়েছে মমতা সরকার। এবার সেই পথেই হাঁটতে চায় কেরলের পিনরাই বিজয়ন সরকার। বাংলার মতোই বামশাসিত কেরলে রাজ্য বনাম রাজ ভবন সংঘাত এখন তুঙ্গে।
সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদে থাকেন সে রাজ্যের রাজ্যপাল। এবার এই নিয়মে বদল আনতে কোমর বাঁধছে কেরল সরকার। সেখানে বাম সরকারের সঙ্গে নিত্য কলহ রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের নিয়োগকালে কেরলের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছে রাজ্যপাল জানতে চান, কেন তাঁদের নিয়োগ বাতিল করা হবে না। সূত্রের খবর, রাজ্যপালের এই পদক্ষেপে ক্রুদ্ধ বিজয়ন সরকার। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য পদ থেকে আরিফকে সরিয়ে দিতে সমস্ত রকম আইনি রাস্তার খোঁজ চলছে। এ জন্যই গত জুন মাসে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় পাশ করানো বিলটিও খুঁটিয়ে পড়ছেন কেরলের মন্ত্রী-আমলারা।
এই বিলে রাজ্যপালের বদলে রাজ্যের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করার কথা বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, তামিলনা়ড়ু এবং মহারাষ্ট্রও আগে এই পথ নিয়েছে। সূত্রের খবর, পঞ্জাবের আপ সরকারও একই পথে হাঁটার কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে।